প্রতিষ্ঠার এক দশকেও সমাবর্তন দেখেনি বুটেক্স

  © ফাইল ফটো

২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠার ১০ম বছরে পা দিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত টেক্সটাইল বিশেষায়িত দেশের একমাত্র সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এটি। অথচ প্রতিষ্ঠার এতদিনেও সমাবর্তনের মুখ দেখেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা। এ নিয়ে তাদের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা।

সমাবর্তন না হওয়া নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ছাত্রদের সুযোগ-সুবিধা, আবেগ ভালোবাসার কথা চিন্তা করে না বুটেক্স প্রশাসন। আর সমাবর্তনের কথা উঠলে রাষ্ট্রপতির ব্যস্ত শিডিউলের কথা শোনায়।’

জানা গেছে, ২০১৮ সালে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মাসউদ আহমেদের আমলে একবার সমাবর্তনের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তবে সমাবর্তনের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত সমাবর্তনের মুখ দেখে নি শিক্ষার্থীরা। এমনকি সমাবর্তন না হওয়ায় তাদের ফি’র টাকাও ফেরত দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মাসউদ আহমেদ বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা সমাবর্তনের ব্যাপারে সব ঠিক করে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বরাবর আবেদন করি। তবে বিশেষ নিরাপত্তাজনিত কারণ উল্লেখ করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান অতিথি করে সমাবর্তন করার কথা বলা হয়। এদিকে এটি তখন আমাদের ১ম সমাবর্তন হওয়ার কারণে বিষয়টি কেউ মেনে নিতে পারিনি বলে সমাবর্তন স্থগিত রাখা হয়।’

সমাবর্তনের জন্য পূর্বে রেজিষ্ট্রেশনকৃতদের টাকা ফেরত দেয়া হবে না বলে জানায় বুটেক্স প্রশাসন। তাহলে শিক্ষার্থীদের টাকা কি করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে একাডেমিক সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানায়, ‘যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে, তাদের টাকা ফেরত দেয়া হবে না। বরং যখন সমাবর্তনের জন্য পুনরায় রেজিষ্ট্রেশন শুরু করা হবে, তখন তাদেরকে রেজিস্ট্রারকৃত বলে গণ্য করা হবে।’

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেমের বরাত দিয়ে সেকশন অফিসার বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘সমাবর্তনের ব্যাপারে কথাবার্তা হচ্ছে। এ নিয়ে উপাচার্য স্যার বুটেক্সের সাবেক ছাত্র ও জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেনসহ রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তার এপয়েন্টমেন্ট পেলেই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ