হাবিপ্রবি প্রক্টরকে হুমকি কর্মচারীর, থানায় জিডি

  © ফাইল ফটো

ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে পরীক্ষার্থীকে সহযোগিতা করার দায়ে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তাকে।

গত ২ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ ভবনের ৪০৩ নং রুমে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মাহামুদুল হক শাকিল নামের (রোল ৪১৯৩৭৯) এক পরীক্ষার্থীকে উত্তরসম্বলিত প্রশ্নপত্র প্রদান ও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করার সাথে জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসেন ওই পরীক্ষার্থী ও অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র ল্যাব টেকনিশিয়ান আমিনুল ইসলাম নামের ওই কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রক্টরকে হুমকি প্রদান করেন। আমিনুল ইসলাম নামের ওই কর্মচারী লিখেছেন, খালিদ প্রক্টর স্যার, আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাসালেন, যেদিন আপনার সময় যে থাকবে না, সেই দিন বাংলার মাটিতে আমার ক্ষতি করে যাবেন কোথায়?

এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসেন জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে গত সোমবার ( ২ ডিসেম্বর ১৯) কোতয়ালী থানায় ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছিল। মামলার পর থেকে সে আমার অধীনস্ত হওয়া সত্ত্বেও আমাকে হুমকিস্বরূপ বিভিন্নজনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে আসতেছিল। নিজের অপরাধ বিবেচনা করেনি সে। এমনকি তার ফেসবুক টাইমলাইনে আমাকে উদ্দ্যেশ করে হুমকিবার্তা দিয়েছে যা আমি তাঁর টাইমলাইন খুঁজে দেখতে পাই। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা জন্য গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ওই কর্মচারীর নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।”

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জিডি’র করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তবে, অভিযুক্ত আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে মেসেজ করে কথা বলতে চাইলেও তাঁর কোন উওর দেননি তিনি ।

উল্লেখ্য যে, আমিনুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন। এই ঘটনার পূর্বেও তিনি বিভিন্ন অপকর্মের সাথে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনার ব্যাপারে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে এবং আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ায় জন্য বলা হয় ।


সর্বশেষ সংবাদ