আক্কাস আলীকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে তদন্ত কমিটি

  © টিডিসি ফটো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) সিএসই বিভাগের সাবেক প্রধান ও ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে অভিযুক্ত আক্কাস আলীকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সুষ্ঠ তদন্তের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি পুনরায় গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আক্কাস আলীকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সুষ্ঠ তদন্তের জন্য ইতিপূর্বে গঠিত তদন্ত কমিটি পুণঃগঠন করা হল। এ কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আইন বিভাগের শিক্ষক মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে সভাপতি ও সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. আবু সালেহকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি পূনঃগঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এস. এ এস্কান্দার আলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস. এম গোলাম হায়দার, প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান, ফার্সেমী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামস্ আরা খান ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাপস বালা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। সেই বিষয়ে আবারো পূনঃকমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো. আক্কাস আলী গত ডিসেম্বর মাসে ওই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দুই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়াসহ যৌন হয়রানী করে আসছিলেন। পরে দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আক্কাস আলীর শাস্তির দাবীতে আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুর রহিম খানকে সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. বশির উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আক্কাস আলীকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে জানুয়ারি-জুন ২০১৯ থেকে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত মোট ৮ সেমিস্টারের জন্য সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এরই মধ্যে গত ৪ নভেম্বর আক্কাস আলী ও তদন্তকারী দলের প্রধান অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম খানের ফোনালাপ ফাঁস হয়। ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে বিষয়টি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ