মজলুম জননেতার প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলি

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের এই দিনে (১৭ নভেম্বর) ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে বর্তমান মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন ভাসানচরের মওলানার সমাধি স্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দিনটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিভাগসমূহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন প্র‍য়াত এই মহান নেতার মাজারে।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কয়দিন আগে থেকেই মওলানা ভাসানীর ভক্ত অনুসারীরা সন্তোষের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত ভাসানীর দরবার হল ও তার আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে শোক সভা, শোক র‍্যালি ও ভাসানীর রাজনৈতিক মতাদর্শ কেন্দ্রিক বিভিন্ন সেমিনারসহ অন্যান্য কর্মসূচি।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন বিংশ শতকে ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক, যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘মজলুম জননেতা’ হিসাবে সমধিক পরিচিত।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়ও তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি মাওপন্থী কম্যুনিস্ট, তথা বামধারার রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার অনুসারীদের অনেকে এজন্য তাকে ‘লাল মওলানা’ নামেও ডাকতেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের ‘ওয়ালাকুমুসসালাম’ বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ