বশেমুরবিপ্রবি

শিক্ষাছুটিতে যাওয়ার দেড় বছর পর বেতন ভাতা স্থগিত

শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ার একবছর তিন মাস পর এক শিক্ষকের বেতন ভাতা স্থগিত করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসন। ভুক্তভোগি শিক্ষক মো. রুবাইয়াৎ রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক বলে জানা গেছে।

রুবাইয়াৎ রহমান আজ তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে ঘটনাটির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে লিখেছেন "নিশ্চয়ই আমার শিক্ষক সত্তা এ কারণে মারা যাবে না। কিন্তু যে অসম্মান টুকু আমাকে করা হয়েছে তা অনেক ভারী ; অপমানজনক ; অনেক অনেক কষ্টকর।"

ওয়েবসাইটে এই শিক্ষক তার আপগ্রেডেশন ও যোগদানপত্র সহ শিক্ষাছুটি সংশ্লিষ্ট  অফিস আদেশের কপি আপলোড করে দাবি করেছেন তিনি সকল আইন মেনেই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছেন। কিন্তু ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে দুটে কারণ জানানো হয়েছে বলে ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছেন তিনি। যার মধ্যে একটি কারণ হলো আইন বিভাগ থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বেতন বন্ধ করা হয়েছে এবং অপরটি হলো তার সহকারী অধ্যাপক পদে যোগদান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এখনও সন্ধিহান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতরে যোগাযোগ করা হলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোরাদ হোসেন জানান,"আইন বিভাগ তার বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি, তারা শুধুমাত্র জানিয়েছিলো যে রুবাইয়াৎ রহমানের ছুটির বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাচ্ছে না।"

রুবাইয়াৎ রহমানের বেতন ভাতা কেনো বন্ধ করা হলো এবং তিনি সহকারী অধ্যাপক পদে যোগদান করেছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "তিনি সহকারী অধ্যাপক পদে যোগদান করেছিলেন। কোনো ছুটি না নিয়েই তিনি দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় মূলত তার বেতন ভাতা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।" ওয়েবাসাইটে রুবাইয়াৎ রহমানের আপলোডকৃত অফিস আদেশের বিষয়ে তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে নো অবজেকশন লেটার (এনওসি) প্রদান করা হয়েছিলো এবং অফিস আদেশ প্রদান করা হয়েছিলো যে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ছুটি পাবেন। কিন্তু এই অফিস আদেশের প্রেক্ষিতে নিয়ামানুযায়ী কত তারিখ থেকে কত তারিখ ছুটি প্রয়োজন তা উল্লেখ করে তিনি কোনো আবেদন করেননি। এবং ছুটি না নিয়েই দেশের বাইরে চলে গেছেন।"

কেনো এতদিন পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে মোরাদ হোসেন বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর আগে বিষয়টি এতদিন লক্ষ্য করেনি। তার ব্যক্তিগত নথি যাচাই করতে গিয়ে বিষয়টি সামনে চলে আসে।"


সর্বশেষ সংবাদ