হাবিপ্রবিতে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার

  © টিডিসি ফটো

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) মর্যাদায় গড়ি সমতা ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাবিপ্রবি ও সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলিটি ইন্ ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মো ফজলুল হক ও সিডিডি এর নির্বাহী পরিচালক এ. এইচ. এম. নোমান খান।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থাপনা করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নাজরানা ইয়াসমিন হীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেমিনারে বিষয় ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ফাহিমা খানম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, আমাদের সমাজ থেকে নৈতিক মূল্যবোধ জিনিসটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অস্থিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা মানুষ পরিবার থেকে পায়। কিন্তু বর্তমানে পারিবারিক বন্ধনগুলো হালকা হয়ে যাওয়ায় এটি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

উপাচার্য বলেন, সমান অধিকার নারীদের প্রাপ্য, এটা কোন করুণা নয়। নিজেদের শ্রম ও মেধা দিয়ে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে সেই সাথে তাল মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে তিনি বলেন হাবিপ্রবির ইতিহাসে এবারই প্রথম প্রতিবন্ধীদের কথা বিবেচনা করে তাদের জন্য কোটা রাখা হয়েছে। এটা তাদের অধিকার, আমরা তা নিশ্চিত করেছি।

‘মর্যাদায় গড়ি সমতা’ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের একটি ক্যাম্পেইন যা নারীর প্রতি সমাজের অবহেলা ও বৈষম্যগুলো সমাজের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে সমাজকে বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের সে ব্যাপারে সচেতন করার লক্ষে কাজ করে।

এছাড়াও বর্তমানে সমাজের সর্বক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীসহ সকলকে সচেতন করার লক্ষে এই সেমিনার এর আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সচিব, ইউনিয়ন নারী প্রতিনিধি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকবৃন্দ সহ অনেকেই অংশগ্রহণ করেন। সেমিনার শেষে ৩০ জন প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার, হস্ত চালিত রিকশাসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হয়।