১১ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৪২

শিক্ষার্থীদের ১০ দাবি: যা বললেন বুয়েট উপাচার্য

বুয়েট শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়েছে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। একইসঙ্গে আবরার হত্যার ঘটনায় উদ্ভুদ পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় বুয়েট কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উপস্থিত হয়ে এই ঘোষণা দেন।

উপাচার্য বলেন, আবরার হত্যার জন্য আমরা মর্মামত। আবরার আমাদের প্রিয় ছাত্র। আবরার তোমাদের ভাই। আমার সন্তান। আমি তোমাদের ১০ দফা দাবি গতকাল নীতিগতভাবে মেনে নেয়েছি। ১০ দফার প্রথম ছয় দফার জবাব দেন উপাচার্য।

১ নম্বর দাবি: এ ব্যাপারে আমরা সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছি। খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।

২ নম্বর: এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সবকিছু প্রসিডিরের মধ্যে হচ্ছে। যদি তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে আমরা যদি কোর্টে হেরে যাই তাহলে সমস্যা। তাই এজহারভুক্ত ১৯ জনকে সাময়কি বহিষ্কার করা হলো। তা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। এতে কোন গাফিলতি করা হবে না।

৩ নম্বর দাবি: অবরারের পরিবারের ক্ষতিপূরণ: আমরা এই ব্যাপারে নোটিশে জানিয়ে দিব। এ ব্যাপারে আমরা ক্ষতি পূরণ দিব। যেভাবে কাজ করা দরকার আমরা করব।

৪ নম্বর দাবি: এ ব্যাপারে আমরা একমত। সরকারের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। সরকার আমাদের আশ্বস্ত করছেন। এ ব্যাপারে কোন গাফিলতি করা হবে না। এ ব্যাপারে দ্রুত তম সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারকে লিখিত দিব। আজ শুক্রবার হওয়ায় লিখিত দিতে পারিনি।

৫ নম্বর দাবি: চার্জশীটের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারকে জোর করতে পারব না। তাদের নিজস্ব গতিতে কাজ করছে। চার্জসিট হাতে পেলে আমরা নোটিশে জানিয়ে দিব।

৬ নম্বর দাবি: আজ থেকে বুয়েছে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো। সাথে শিক্ষক রাজনীতি। আজ থেকে পলিটিক্যাল কোন প্রোগ্রামে শিক্ষক যাবে না। তবে যদি কেউ গোপনে রাজনীতি করে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

৮. এ ব্যাপারে কাজ করতে গেলে তোমাদের সাহায্য লাগবে। সেজন্য আমরা তোমাদের সাহায্য চাইব।এই ঘটনাগুলো যেন না হয় এবং এ ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার এজন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। আমরা দুটি মামলার তদন্ত কমিটি গঠন করবো দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিব।

৯. আমি এ ব্যাপারে আইআইসিসি বিভাগের সাথে কথা বলেছি। এই সাইটের মধ্যে কি কি থাকতে হবে তা তোমাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রোগ্রামের জন্য এক সপ্তাহ সময় লাগবে। সবগুলো হলে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

১০. আবারার হত্যার ব্যাপারে আমরা সোচ্চার ছিলাম। আমার জানা নেই, এত দ্রুত সময়ের মধ্যে কোন মামলায় এতজন আসামি আটক করা হয়েছে কিনা। আমি ওইদিন ভোররাত থেকে কাজ করেছি। আমি আবরার হত্যার ব্যাপারে পুলিশ ডিআইজি সাথে কথা বলেছি। আবরারের হত্যায় আমি উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। আবরার হত্যার পর পুলিশ হত্যার আলামত নিয়ে গেছে। হত্যার আলামত নিয়ে যাওয়ার পর আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। আবরার তোমাদের ভাই, আমার সন্তান। আমি দেরি করে তোমাদের সামনে এসেছিল। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা চাচ্ছি।