আবরার হত্যাকান্ডে ছাত্রলীগের লজ্জা প্রকাশ

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় লজ্জা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে খুনের ঘটনায় জড়িত সবার যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়, সেভাবে মামলা পরিচালনা করার দাবি জানায় ছাত্রলীগ। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে ছাত্রলীগের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেন, ছাত্রলীগ কোনো অন্যায় অপকর্মের প্রশ্রয় ও উৎসাহ দেয় না, দেবে না। আবরার হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। সাংগঠনিকভাবে তাদের ১১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এর বাইরে আর কারও সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদেরও যেন খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

নাহিয়ান বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল আবরার হত্যার ঘটনায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। দেশবিরোধী চুক্তির ধোয়া তুলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। কিছু নামসর্বস্ব সংগঠন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এটা মেনে নিতে পারে না। ছাত্রলীগ এ ষড়যন্ত্র সর্বাত্মকভাবে মোকাবিলা করবে।’ তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সব নেতা-কর্মীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, এ ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগ ব্যবস্থা নিয়েছে, ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। এখন তারা লজ্জা প্রকাশ করছে। সেই সঙ্গে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আজ তিনি বার্তা দিতে চান, কোনো ধরনের অপকর্ম, আপত্তিকর ঘটনার দায় সংগঠন নেবে না। কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংগঠনে অনুপ্রবেশ করে থাকলে তাঁরা যেন কেটে পড়েন। কোনো ধরনের অপরাধকে ছাত্রলীগ প্রশ্রয় দেবে না।

গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ