বশেমুরবিপ্রবি ভিসির অপসারণে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

সম্প্রতি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মো. নাসিরউদ্দিনকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

২৪ ঘন্টার মধ্যে উপাচার্যের অপসারণ না হলে মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহবায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

মানববন্ধনে অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন বলেন, জাতির পিতা যেখানে শুয়ে আছেন সেই স্থানে ভিসি নাসিরউদ্দীন স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। গত কয়েকমাস ধরে তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ প্রকাশিত হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রণালয় ও সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছ না। শুধুমাত্র মত প্রকাশের জন্য তিনি এক ছাত্রীকে বহিস্কার করেছেন। ওই ছাত্রী শুধু লিখেছিলেন বিম্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ কি-এই কথা লেখায় তাকে বহিস্কার করা হয়। এর আগে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে লেখায় ৫ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে কুলাঙ্গার ভিসি নাসিরউদ্দীন। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও নারী কেলেংকারীসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল করতেন, যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্রদলের সংগঠক ছিলেন। এরপরও শুধুমাত্র আত্মীয়তার সূত্রে এই স্বাধীনতা বিরোধিকে সেখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসময় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিসির অপসারণ ও বহিস্কৃতদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান আ ক ম জামাল উদ্দীন। অন্যথায় আগামীকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদানসহ পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলে জানান তিনি।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির বলেন, অবিলম্বে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি সারা দেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব।

উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে লিখেছিলেন-‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কি?’ এই লেখার কারণে গত ১১ সেপ্টেম্বর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। জিনিয়ার বহিষ্কারের কারণে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ