আজও আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা, সাক্ষাৎ পাননি ভিসির

১৬ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। ১৬ দফা দাবি আদায়ে রোববার সকাল ৯ টা থেকেই ছাত্রছাত্রীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে। আগের দিনের মতো এদিনও মূল ক্যাম্পাস, পশ্চিম পলাশি ক্যাম্পাস এবং ডিএসডব্লিউ অফিসে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়।একইসাথে ক্লাস ল্যাব সহ সকল ধরনের পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা।

সকাল ১১টার দিকে বুয়েট শহীদ মিনার থেকে র‍্যালী সহকারে ভিসি স্যারের অফিসে যায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’, ‘স্বৈরাচারী প্রশাসন মানি না মানব না’, ‘ছাত্রবান্ধব ডিএসডব্লিউ দিতে হবে দিতে হবে’, ‘প্রশাসনের কালোহাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগানে পরিবেশ উত্তপ্ত করে রাখে ছাত্রছাত্রীরা।

পরে র‍্যাগ ব্যাচ ‘পৌনঃপুনিক ১৫’ এর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল ১৬ দফা দাবির স্মারকলিপি নিয়ে ভিসি স্যারের দেখা করতে যায়। কিন্তু ভিসি ড. সাইফুল ইসলাম, উনার দেখা করার সময় হবে না বলে অন্যান্য ফ্যাকাল্টির ডিন স্যারদের সাথে দেখা করতে কর্মচারীর মাধ্যমে নির্দেশ দেন। পরে ওই প্রতিনিধি দল ডিন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কে এ এম মোক্তাদির স্যারের সাথে দেখা করতে গেলে উনাকেও তার অফিসে পাওয়া যায়নি। পরে উনার পিএস এর কাছে স্মারকলিপিটি দিয়ে আসে প্রতিনিধি দলটি।

পরবর্তী কর্মসূচী হিসাবে দাবি আদায় না পর্যন্ত একইভাবে পরের দিন আন্দোলন কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে—

★ বুয়েট গেটের জন্য সিভিল-আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞ স্যারদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে ও ডিজাইনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে।

★ বিতর্কিত নতুন ডিএসডাব্লিউ (ছাত্রকল্যাণ পরিচালক) কে অপসারণ করে ছাত্রবান্ধব ডিএসডাব্লিউ নিয়োগ দিতে হবে।

★ ছাত্রী হলের নাম সাবেকুন নাহার সনি হল হিসেবে নামকরণ করতে হবে।

★ ১০৮ ক্রেডিট অর্জনের পর ডাবল সাপ্লি দেয়ার যে পদ্ধতি গত টার্মে চালু হয়েছিল, সেটা পুনর্বহাল রাখতে হবে।

★ আবাসিক হলগুলোর অবকাঠামোগত যেসব কাজ ভিসি স্যারের অফিসে আটকে আছে সেটা সম্পন্ন করতে হবে।

★ সিয়াম-সাইফ সুইমিংপুল কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য ভিসি স্যারের স্বাক্ষরে নোটিশ দিতে হবে।

★ নির্মাণাধীন টিএসসি ভবন ও নেম ভবনের কাজ শুরু করতে হবে।

★ নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়ন প্রোগ্রাম চালু করতে হবে।

★ বুয়েটের যাবতীয় লেনদেনের ডিজিটালাইজেশান প্রক্রিয়ার অফিয়াল উদ্যোগ নিতে হবে।

★ নির্বিচারে ক্যাম্পাসের গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। কেন গাছ কাটা হয়েছে সেটার ব্যাখ্যা দিতে হবে। যতোগুলো গাছ কাটা হয়েছে তার দ্বিগুণ গাছ ভিসি স্যারকে উপস্থিত থেকে লাগাতে হবে।

★ গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

★ প্রাতিষ্ঠানিক মেইল আইডি দিতে হবে।

★ বুয়েট ওয়াইফাই আধুনিকায়ন করতে হবে।

★ ব্যায়ামাগার আধুনিকায়ন করতে হবে।

★ বুয়েট মাঠের উন্নয়ন করতে হবে এবং পরীক্ষার খাতায় রোলের পরিবর্তে কোড সিস্টেম চালু করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ