ভুল চিকিৎসায় আইসিইউতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মুন্নির ঈদ

  © টিডিসি ফটো

সারাদেশে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়লেও এই আনন্দ স্পর্শ করেনি নার্সের ভুল চিকিৎসার শিকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মুন্নি এবং তার পরিবারকে। ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো জ্ঞান ফেরেনি তার। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মুন্নী।

মুন্নীর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে তার বড় ভাই হাসিবুল হাসান রুবেল জানান, ‘মুন্নীকে সার্বক্ষণিক ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে রাখা হচ্ছে। ঘুমের ইনজেকশন বন্ধ করলেই প্রচন্ড খিঁচুনি উঠছে এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে।’

এদিকে ভুল ইনজেকশন প্রদানে অভিযুক্ত দুই নার্স শাহানাজ এবং কুহেলিকাকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সেবা অধীদপ্তর এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে রাতে পিত্তথলিজনিত সমস্যার কারণে ডাক্তার তপন কুমার মন্ডলের অধীনে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুন্নি। মঙ্গলবার সকালে তার অপারেশন করার কথা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ সকালে রোগীর ফাইল না দেখে গ্যাসট্রাইটিসের ইনজেকশন সারজেলের পরিবর্তে অ্যানেস্থেসিয়ার (অজ্ঞান কারার) ইনজেকশন মুন্নির শরীরে পুশ করেন। এ ভুল ইনজেকশন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।

পরবর্তীতে তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে তাকে খুলনা আবু নাসের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে ২৩ মে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওইদিনই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে পাচঁ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গঠিত কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

অপরদিকে ওই ঘটনায় মুন্নির চাচা জাকির হোসেন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ থানায় চিকিৎসক তপন কুমার মন্ডল ও দুই নার্স শাহনাজ ও কুহেলিকাকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ