ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা শাবিপ্রবি

বিজয়ী শাবিপ্রবির ‘টিম বোজনস’
বিজয়ী শাবিপ্রবির ‘টিম বোজনস’  © টিডিসি ফটো

ম্যাসাচুসেট্‌স ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) পিএইচডি গবেষকদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘থিওরেটিক্যাল ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে’ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৫তম স্থান অর্জন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ‘টিম বোজনস’।

টিম বোজনের সদস্যরা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ, সোলাইমান রবিন, তরিকুল রাজু, স্বরুপ পোদ্দার এবং আহমেদ আল ইমতিয়াজ। এদিকে চূড়ান্ত তালিকায় শাবিপ্রবির আরও ছয়টি দল জায়গা করে নেয়।

জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয় এবং এই সময়ের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন ফিল্ড থেকে করা ৬-৭ টি সমস্যা সমাধান করে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হয়। এতে পদার্থবিদ্যার তুলনামূলক জটিল গাণিতিক সমস্যাগুলো বা বিষয়বস্তুগুলো থাকে যেমন টেনসর, ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন, রিলেটিভিটি, কসমোলজি, কোয়ান্টাম মেকানিক্স ইত্যাদি। প্রতিযোগিতার একমাত্র শর্ত (স্নাতক) পূরণের মাধ্যমে যেকোন ছাত্র-ছাত্রীরা দলগতভাবে অংশগ্রহন করতে পারে এবং প্রতি দলে সর্বোচ্চ ৫ জন থাকতে পারে।

টিম বোজনস’র সদস্য মামুনুর রশিদ জানান, এ প্রতিযোগিতায় ভাল করতে পারলে এমআইটির যেকোন প্রফেসরের সাথে রিসার্চ প্রজেক্টে কাজ করার একটা সুযোগ থাকে। আর আমাদেরকে যে সমস্যাগুলো দেয়া হয়েছে তা অনেকটাই মাস্টার্সের কোর্সের সাথে সম্পর্কিত। পদার্থবিজ্ঞানের অন্য সব প্রতিযোগিতার সাথে এটির পার্থক্য হচ্ছে এর জটিলতা। মূলত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে গবেষনায় আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীদের খুঁজে বের করাই এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য। একাডেমিক সিলেবাস অনুযায়ী চতুর্থবর্ষ বা মাস্টার্সের ছাত্ররাই এতে অংশগ্রহণ করা যুক্তিযুক্ত।

বাংলাদেশ থেকে এর আগে ২০১৮ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল শুন্য স্কোর করে ২৭ তম হয়। তবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে অনেকগুলো দল র‌্যাংকিং এ জায়গা করে নেয়। এদের মধ্যে শাবিপ্রবির ছয়টি দল এস ফিজিস্ট টিম ৫২তম, প্রোটন ৫৪তম, দ্যা ওয়ান ম্যান আর্মি ৬৮তম, এপোলো ৭২তম, টিম সাস্ট ৭৩তম, টিম ক্রিয়েটিভ ৭৪তম স্থান অর্জন করে।

প্রসঙ্গত, এমআইটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্‌স অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজে অবস্থিত একটি বেসরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। যেটাকে পৃথিবীর সবথেকে মর্যাদাপূর্ণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণ্য করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান শিল্পায়ন প্রতিক্রিয়ার ফলশ্রুতিতে ১৮৬১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত। এমআইটি ইউরোপীয় পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় মডেল গ্রহণ করে এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে বিভিন্ন পরীক্ষাগার কর্মসূচীর উপর জোর দিয়ে থাকে।

আরো দেখুন: ঢাবির ভাইভা বোর্ড আমাকে বলেছিল— আপনি তো এখানে পড়েননি, আবেদন করেছেন কেন?


সর্বশেষ সংবাদ