ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

একই ব্যানারে দুই ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ
একই ব্যানারে দুই ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ  © হাবিবুর রহমান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদ ও পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও জাতীয় ছাত্রদল।

মঙ্গলবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলা থেকে যৌথভাবে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও জাতীয় ছাত্রদল। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে জাতীয় ছাত্রদলের সভাপতি রামকৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট শাবি শাখার সদস্য মইনুদ্দিন মিয়ার সঞ্চালনায় ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ রুদ্র, সাধারণ সম্পাদক নাযিরুল আজিম বিশ্বাস জাতীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক দীনবন্ধু সরকার সৌরভসহ শাবিপ্রবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও জাতীয় ছাত্রদলের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জাতীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক দীনবন্ধু সরকার সৌরভ বলেন, আমাদের রাজনীতির ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধ। অতীতের ছাত্ররাজনীতি আর আজকের রাজনীতির দিকে তাকালে দেখা যায়, বর্তমানে রাজনীতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। ডাকসুতে যদি সাধারণ ছাত্ররা প্রতিনিধিত্ব না করতে পারে তাহলে সেই ডাকসুর দরকার কি? আজকের ছাত্ররা নিজেদের স্বকীয়তা বিলিয়ে দিয়ে অমুক ভাইয়ের চরিত্র নিয়ে স্লোগান দেয়।

সমাবেশে ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাযিরুল আজিম বিশ্বাস বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদের শাসনামলেও ছাত্রদেরকে ভাবতে হয়নি যে আমার ভোট কেউ দিয়েছে কিনা। এরশাদ কিংবা পাকিস্তান সরকার কখনো সাহস করে নাই ডাকসু নির্বাচন কলঙ্কিত করার। আর আজ সেই ডাকসু নির্বাচনকে বর্তমান সরকার কলঙ্কিত করছে।

তিনি আরো বলেন, ড.শামসুজ্জোহা ছাত্রদের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। আর আজকালের শিক্ষকরা ভোট ডাকাতিতে সহায়তা করছেন। একটা দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক যখন নৈতিকতা বর্জন করে, তখন তার কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কি শিখবে? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একমাত্র যায়গা ছিল নৈতিকতা চর্চার। সেই নীতি-নৈতিকতার জায়গা অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে উঠেছে।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় ছাত্রদলের সভাপতি রামকৃষ্ণ দাস বলেন, ডাকসুকে কলঙ্কিত করবেন না। আমাদের ছাত্রদের অধিকার ফিরিয়ে দিন। সাধারণ ছাত্ররা যাতে কথা বলতে পারে সেই ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানান এই ছাত্রনেতা।


সর্বশেষ সংবাদ