গবেষণার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে চুয়েট: উপাচার্য

গবেষণার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে চুয়েট: উপাচার্য
গবেষণার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে চুয়েট: উপাচার্য  © টিডিসি ফটো

‘অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি  একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গবেষণার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে চুয়েট’-বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ রফিকুল আলম। তিনি বলেন, চুয়েটে এখন স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণায় এগিয়ে আসলে আমরা সরকার কর্তৃক গবেষণা বৃত্তির আবেদনও করতে পারি এবং সর্বোচ্চ চেষ্টায় আমরা গবেষণা বৃত্তি প্রদান করতে পারি। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে নিবে চুয়েট। 

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের (ইইই) ইইই-দিবস-২০২২ এর র‌্যালি শেষে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার ৮ ডিসেম্বর চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

করোনা এবং একাডেমিক নানা জটিলতায় ২০১৮ সালের পর এমন আয়োজন দেখলো তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এবারের আয়োজক সমাপনী ব্যাচ ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। `ইইই দিবস: ইলেক্ট্রিক্যাল সার্জ – ২০২২’ নামে এ আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী বিভাগের শিক্ষকরা। আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ফুটবল ম্যাচ, সার্কিট সমাধান প্রতিযোগিতা, কুইজ, বিষয়ভিত্তিক সমস্যা সমাধান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শর্ট পিচ টুর্নামেন্ট সহ নানা আয়োজনে এবারের আয়োজনের পর্দা নামবে।

আরও পড়ুন: ৫৭ শতাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার নেই, পাঠ্যবইয়ে সীমাবদ্ধ প্রযুক্তি শিক্ষা

আয়োজনকে ঘিরে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনার পাশাপাশি আয়োজন সম্পন্ন করতে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের থেকে ৬১ সদস্যের একটি কার্যকরী কমিটি করা হয়েছে। এছাড়াও গত ৪ ডিসেম্বর ইইই বিভাগের শিক্ষকদের নিয়েও ৩০ সদস্যের উপদেষ্টা ও উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছিল আয়োজনকে সম্পন্ন করতে।

তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রুবাইয়াৎ তানভীর হোসাইন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পর ইইই দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছি। আগে প্রতিবছর এই দিনটি উদযাপন করা হলেও করোনা লক-ডাউন সহ বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে গত কয়েকবছর আমরা দিনটি উদযাপন করতে পারিনি৷ কিন্তু এবছর বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দিনটি পুনরায় উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি। প্রতিবছর এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বানও জানান তিনি।

একই বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী জিয়াদ হোসাইন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পর ইইই দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছি । দিনটি না উদযাপন করে ডিগ্রি শেষ করলে নিজেদের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে অসম্পূর্ণতা থেকে যেতো, এই পুঁথিগত বিদ্যার গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এই আয়োজন একাডেমিক চক্র থেকে বের হতে সাহায্য করবে। 


সর্বশেষ সংবাদ