১৮ বছর শিক্ষকতার পরেও ‘এমপিও না পাওয়ায়’ আত্মহত্যা

  © সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৮ বছর শিক্ষকতা করেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ক্ষোভে গলায় ফাঁস নিয়ে এক শিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন। ওই শিক্ষকের নাম মোস্তফা কামাল (৪৫)। মোস্তফা কামাল পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল হাইস্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়া পাড়া গ্রামে ওই শিক্ষকের নিজ বাড়ির শোবার ঘরের বারান্দা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মোস্তফা কামাল একই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। তার দুটি মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন।

নিহতের পরিবারের দাবি, দীর্ঘ ১৮ বছর (দেড় যুগ) চাকরির পরও এমপিওভুক্তি না হওয়ায় বেশ কিছুদিন হলো মোস্তফা কামাল হতাশায় ভুগছিলেন। এ হাতাশা থেকেই তিনি আত্নহত্যা করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতের কোনে এক সময় নিজ শোবার ঘরের বারান্দায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন মোস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তার পরিবারের লোকজন তাকে গলায় ফাঁস নেয়া অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেন। সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকেই মোস্তফা কামাল সেখানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। মাঝে কিছুদিনের জন্য মমতাজ মোস্তফা স্কুল থেকে অন্য স্কুলে চলে যান। সেখানেও এমপিওভুক্ত হতে না পেরে ২০১২ সালে আবার এ স্কুলে ফিরে আসেন। বিগত কয়েক বছরে এই স্কুলটি নিম্ন মাধ্যমিক থেকে উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়।

মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, ২০১৯ সালের শেষের দিকে মমতাজ মোস্তাফা আইডিয়াল স্কুলটির নিম্ন মাধ্যমিক শাখার শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হন। কিন্তু কাগজপত্রের কিছু কমতি থাকায় মোস্তফা কামাল বাদ পড়ে যান। তবে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় শর্ত পূূরণ সাপেক্ষ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে এমপিও’র আবেদন পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান,লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার দুপরে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ