করোনাভাইরাসের প্রভাব: বন্ধ হচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান?

  © ফাইল ফটো

চীন থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী জনজীবন স্থবির করে তুলেছে। অর্থনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলেছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয় বাংলাদেশও। দেশে তিনজনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকার। এছাড়া বেশ কয়েকজনের কোয়ারেন্টাইন করার কথা জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অনেকে। অবশ্য দেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা জানিয়েছে সরকার। এছাড়া নতুন করে আর কারোর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখা উচিৎ। এতে তাদের সন্তানরা নিরাপদ থাকবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও অনেকে স্কুল বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আজ বিকেলে সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার।

শেখ আদনান ফাহাদ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘স্কুল বন্ধের দাবি জানাই। আমার/আমাদের সন্তানকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চালাবেন না। আপনি ভিআইপি। আমি নই। আমরা নই। প্লিজ আমাদের নিয়ে কোন রিস্ক নিবেন না। স্কুল বন্ধ করে দিন। একবার করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরলে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে এক সপ্তাহ স্কুল/অফিস বন্ধ থাকুক। প্লিজ। নিয়ন্ত্রণ করলে এখনই করতে হবে। আমরা আতঙ্কে আছি। সরকার বাহাদুর প্লিজ আমাদেরকে নিজেদের সন্তান মনে করুন। আমার সন্তানকে নিজের সন্তানের স্থানে নিয়ে ভাবুন। আমরা বাঁচতে চাই।’

খোমিনি এহাসান লিখেছেন, ‘অবিলম্বে বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা দরকার, করোনাভাইরাস নিয়ে কোনো অবহেলা নয়।’

সাংবাদিক মিজান মালিক লিখেছেন, ‘করোনাভাইরাস। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন। আতঙ্ক আছে। অস্বীকার করার জো নেই। তিনজন আক্রান্ত হবার ‌খবরটি আমাদের জন্য দুঃসংবাদ। এ ধরনের ভাইরাসে শিশুরা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তাই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক ভাবে হলেও বন্ধ ঘোষণা করার দাবি করছে সবাই। আমি সেই দাবির সাথে সহমত পোষণ করছি। এ জন্যই কথা বলেছি একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে।’

তবে করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মনে করছে সরকার। সোমবার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের মত অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো এখনো পরিস্থিতি হয়নি।

মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে কিনা— এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার বিকালে সিদ্ধান্ত নেবে। সোমবার রাতে মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


সর্বশেষ সংবাদ