এমপিওভুক্ত ২৭৩৭ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন মার্চে

লোগো
লোগো

নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া ২৭৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আগামী মার্চের মধ্যে ছাড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য চলতি মাসের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের জনবল যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করতে চায় মন্ত্রণালয়। জনবল যাচাইয়ে একটি কমিটিও করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের যাচাই-বাছাই শেষ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি। এখন এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বেতন-ভাতা ছাড় করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি চলতি মাসের মধ্যে জনবল যাচাইয়ে কাজ শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অর্থাৎ আসছে মার্চ মাসের মধ্যেই নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পাবেন।

মাউশির ডিজির নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান বু্যরোর (ব্যানবেইস) একজন প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের একজন প্রতিনিধি, মাউশির কলেজ ও মাধ্যমিক শাখার দুইজন পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে মাউশির মাধ্যমিক শাখার উপ-পরিচালককে। গত রোববার বিকালে এ সংক্রান্ত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহেই সভা করে চূড়ান্ত তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

মাউশির উপ-পরিচালক (কলেজ-২) ও মাধ্যমিক শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক মো. এনামুল হক হাওলাদার স্বাক্ষরিত সভা আহ্বানের চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী ১৬৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্যাদির সঠিকতা যাচাইপূর্বক এমপিওভুক্তি সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী রোববার দুপুর আড়াইটায় মাউশিতে সভা ডাকা হয়েছে।

নতুন তালিকাভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও-সুবিধা চলতি অর্থবছরে না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে দুই হাজার ৭৩৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ওইসব প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষ না হওয়ার এ শঙ্কা দেখা দেয়। এখন কমিটি করার মাধ্যমে সে সংশয় দূর হলো। কমিটির যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত গেজেট জারি করা হবে। এরপর প্রতিষ্ঠানের কোড সৃষ্টি এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হবে। এসব প্রক্রিয়া দ্রম্নত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

জানতে চাইলে কমিটির সদস্য সচিব মো. এনামুল হক হাওলাদার বলেন, 'ডিজি স্যার অফিসের অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় গতকালের সভাটি হয়নি।' এ সপ্তাহে সভা করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ