শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও রমরমা কোচিং বাণিজ্য!

  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও রমরমা চলছে কোচিং বাণিজ্য। কৌশলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু শিক্ষক কোচিং চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি পুলিশ সুপারের অনুমতি নিয়ে কোচিং চালানো হচ্ছে বলে দাবি করছেন এক শিক্ষক।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের ওই শিক্ষককে দেখে বসে নেই অন্যরাও। তারাও কোচিং চালাচ্ছেন। তবে পুলিশ  কাউকে কোচিং চালানোর অনুমতি দেয়নি বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।

গত ১৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে। এ সময়ে নিজেদের এবং অন্যদের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে থাকবেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার হোগলডাঙ্গা, হেমায়েতপুর, নতিপোতা, ছুটিপুর, গোপালপুর, কলাবাড়ি, রামনগর, কালিয়াবকরী, চারুলিয়া, ভগিরথপুর, ইব্রাহিমপুর, বিষ্ণুপুরসহ ওই এলাকায় চলছে কোচিং বাণিজ্য। সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হলেও কোচিং থেমে নেই।

জানা গেছে, নতিপোতা গ্রামের জ্ঞানগৃহ কোচিং সেন্টারের পরিচালক দবির উদ্দিন, নতিপোতা শিক্ষক সাদ আহমেদ, কালিয়াবকরী গ্রামের আশার আলো কোচিং সেন্টারের পরিচালক ইদ্রিস আলী, চারুলিয়ার শাকিল খান ও মিঠু খানসহ কিছু অসাধু শিক্ষক কোচিং ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক দবির উদ্দিন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে কিছু সুযোগ সন্ধানী অভিভাবকের বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং চালাচ্ছিলেন। আর এখন নিজ কোচিং সেন্টারেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ সুপার তাকে এ জন্য অনুমতি দিয়েছেন বলে অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে উপস্থিত করাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, কোচিংয়ে বজায় থাকছে না সামাজিক দূরত্ব। আর কোচিংই তো অবৈধ। কেউ কেউ ক্ষমতার প্রভাব দেখাচ্ছেন। সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে কোচিং বন্ধের নির্দেশ দিলেও দলীয় প্রভাব চলে? কীভাবে তারা কোচিং চালায়?

এর আগেও শিক্ষক দবির উদ্দিনকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কোচিং বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা না মেনে কোচিং চালাচ্ছেন তিনি বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তারা কীভাবে কোচিং চালাচ্ছেন? কোচিং তো অবৈধ। অবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ