করোনা আতঙ্কে শিক্ষার্থী কমেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

  © সংগৃহীত

চীন থেকে ছড়ানো করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশেও। ফলে উদ্বেগ বেড়েছে দেশের মানুষের মধ্যে। এ অবস্থায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আহবান জানিয়েছেন অনেকে। অবশ্য সরকার সে ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছে। তবে করোনা আতঙ্কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমেছে অনেক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনার কারণে রাজধানী ঢাকা কয়েকদিন ধরে জনসমাগম কমেছে। যানবাহনের চাপ কমেছে, যাত্রী উঠা-নামাও সীমিত। করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। অভিভাবকদের আড্ডাও এখন সীমিত।

করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবরে মানুষকে দেখা যাচ্ছে মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে চলাচল করতে। আজ বুধবার,  জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, শনাক্ত হওয়া তিন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে দু‘জন সুস্থ। এছাড়া ৮ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা আসেনি। ফলে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধের দাবি করেছেন। অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস শনাক্তের পর অনেকে উদ্বেগে রয়েছেন। এতে রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমেছে। অন্তত ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে না বলে তথ্য মিলেছে। যারা যাচ্ছে, তাদের অনেকে মাস্ত ব্যবহার করছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত জানাবে তা বাস্তবায়ন করবেন তারা। তবে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেও শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাচ্ছে। অবশ্য গত সোমবার দোলযাত্রার ছুটি কারণেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ছিলো।

করোনাভাইরাস নিয়ে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় নির্দেশনা পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি মাউশির অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব অফিসে পাঠানো হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, সরকার ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ ও আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার্থে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবার সতর্কতা ও সচেতনতা প্রয়োজন। এতে রোগটি ছড়ানোর কারণ ও প্রতিরোধের বিষয়েও তথ্য রয়েছে।

এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বা কমিউনিটি সেন্টার বন্ধের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)। আজ বুধবার (১১ মার্চ) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন, সংস্থাটির পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে স্কুল বা কমিউনিটি সেন্টারগুলো বন্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে সতর্কতা হিসেবে জনসমাগম এড়িয়ে চলার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়া এ বিষয়ে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’


সর্বশেষ সংবাদ