সম্মান দেখিয়ে প্রধান অতিথির চেয়ার ছাড়লেন উপমন্ত্রী নওফেল

  © টিডিসি ফটো

বুধবার চালু হওয়া ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে। মঞ্চে নয়টি চেয়ারের মধ্যে তোয়ালে দেওয়া ঢাকা একটিতে প্রধান অতিথির বসার স্থান নির্ধারণ করা হয়।

তবে অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে সম্মান দেখিয়ে ওই চেয়ারে বসেননি তিনি। প্রধান অতিথির পাশের চেয়ারে বসেছিলেন উপমন্ত্রী।

বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সূত্র জানায়, মঞ্চে উঠার পর মোকতাদির চৌধুরী নির্ধারিত চেয়ারে বসতে মহিবুল হাসানকে অনুরোধ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে মহিবুল হাসান চেয়ারটিতে বসার জন্য মোকতাদির চৌধুরীকে অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, ‘আপনি আমার মুরুব্বী, এখানে বসবেন।’ ভার্সিটির প্রস্তাবিত উপাচার্য ডা. মো. আনোয়ার হোসেনও ব্যারিস্টার নওফেলকে অনুরোধ করলেও তিনি চেয়ারটিতে না বসে পাশের চেয়ারে বসেন।

এদিকে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক অদিতি রায় উপমন্ত্রীকে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সময় তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরতে শুরু করেন। কিন্তু তাকে থামিয়ে বক্তব্য রাখতে মঞ্চের ডায়েসেচলে আসেন মহিবুল হাসান।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি ড. সাজ্জাদ হোসেন বক্তব্যের শুরুতে মহিবুল হাসানকে নিয়ে কথা বলতে চাইলে তখনও থামিয়ে দেন তিনি।

পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোকতাদির চৌধুরীকে পিতৃতুল্য উল্লেখ করেন উপমন্ত্রী। মোকতাদির চৌধুরী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তাকে স্নেহধন্য এবং তাঁর পিতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে শ্রদ্ধেয় নেতা বলে উল্লেখ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী।’ এ ছাড়াও প্রশিক্ষিত সন্তানের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের আগে ভার্সিটির সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান।


সর্বশেষ সংবাদ