১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৩১

বাচ্চাদের শিক্ষা দানে পটু কেরানীগঞ্জের ইউএনও

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ  © সংগৃহীত

একজন পেশাদার শিক্ষকের মতই বাচ্চাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে মজার সব গল্পের মাধ্যমে বাচ্চাদের শিক্ষা দানে পটু কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ। হাতে সময় পেলেই তিনি ছুটে যান কাছের কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে ঢুকে পড়েন কোনো ক্লাসে। শুরু করেন ক্লাস নেয়া।

এভাবেই প্রায় সময় তিনি ডাকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংকের ক্লাস নিয়ে থাকেন। অংক আর ইংরেজির ক্লাস নিতে বিভিন্ন স্কুলে ছুটে চলা এই ব্যক্তি হলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায় ডাকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংকের ক্লাস নিচ্ছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অমিত দেবনাথ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর (স্থানীয় এমপি) একটা প্রোগ্রাম আছে। এসে দেখি সাড়ে ১০ বাজে। এক ঘণ্টা সময় হাতে আছে। এজন্য পাশের এই স্কুলে পড়াতে চলে এসেছি। বাচ্চাদের পড়াতে খুব ভালো লাগে। শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই।

জানা যায়, ৩০তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এক সময় ইচ্ছে ছিল শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু হয়েছেন সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা। কিন্তু শিক্ষকতা করার সুপ্ত বাসনা এখনও হৃদয়ে ধারণ করেন তিনি। আর এজন্য সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই চলে যান কোনো স্কুলে।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় ভাবতাম শিক্ষক হবো। সেটা হতে পারিনি। কিন্তু যখনই সুযোগ পেয়েছি বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে পড়াই। ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়ানো অসাধারণ ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন, এতে দুটি লাভ হয়। এক. বাচ্চাদের পড়াতে পারছি। দুই. ওই স্কুলে কোনো সমস্যা আছে কিনা? সেটাও সরেজমিন জানা যায়। যেমন আজকে ডাকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারলাম, স্কুলের পাশে তিনটি সিটকাটিং কারখানা রয়েছে। এগুলোর শব্দে বাচ্চাদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। সঙ্গে সঙ্গে স্কুল চলাকালে কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।