গুজব মোকবেলায় শিক্ষার্থীরা

তিল থেকে তাল এমনই যেন এক গুজবের বাংলদেশ। দেশের মানুষ এই গুজবের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে গুজব।

গুজবরোধে সরকার কাজ করলেও তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকরা। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরও বড় একটি ভূমিকা রয়েছে বলেও মনে করেন তারা। গুজব মোকাবিলায় ছাত্রসমাজের দায়িত্ব কতটুকু তা প্রকাশ পেয়েছে দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকা রাসেল মাহমুদের রিপোর্টে।

গুজবকে রুখতে লেখক ভট্টাচার্য (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) জানান, গুজবকে রুখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছাত্রসমাজের রাখা উচিত। গুজব প্রতিরোধে সঠিক উপায় হচ্ছে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

নুরুল হক নুর (ভিপি,ঢাকসু) জানান, গুজব ছড়ানোর প্রথম এবং প্রধান কারণ সত্য লুকানো। অর্থাৎ সত্যকে ঢেকে রাখার জন্যই গুজব ছড়ানো হয়। তাই গুজব রোধে শিক্ষার্থী বা তরুণদের ভূমিকা অনেক।

শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি (ভিপি, শামসুন্নাহার হল সংসদ) জানান, আমি মনে করি গুজব প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের আগে সচেতন হতে হবে। নিজেরা সচেতন হওয়ার পাশাপাশি আশপাশের সবাইকে সচেতন করতে হবে। এর মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ফয়েজ উল্লাহ (সাবেক সভাপতি ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাবি) জানান, সামপ্রতিক সময়গুলোতে যেসব গুজব ছড়াচ্ছে তা অনলাইনের মাধ্যমেই বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে গুজব রোধে শুরুতেই অনলাইনের প্রতি নিয়ন্ত্রণ আনা দরকার।

আবদুল মজিদ অন্তর (সাবেক সভাপতি, রাবি সাংস্কৃতিক জোট) জানান, গুজব আমাদের দেশের অনেক পুরনো সামাজিক সমস্যা। আগে লোক মুখে গুজব ছড়াতো, আর আধুনিক যুগে এসে অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে জাতীয়জীবনে। কুসংস্কার, ভ্রান্ত বিশ্বাস আর অসচেতনতার কারণে আমাদের দেশে গুজব বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা যারা সচেতন ছাত্রসমাজ আছি আমরা যদি নিজেরা, নিজেদের পরিবারকে সচেতন করি, নিজেদের কমিউনিটিকে সচেতন করতে পারি তাহলে গুজব অনেকটা কমে যাবে।

 


সর্বশেষ সংবাদ