সাদিয়ার মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছেন না সাদিয়া আফরিন। সাদিয়া আফরিন চাপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নে মকরমপুর গ্রামের চা বিক্রেতা দরিদ্র রফজুল হকের মেয়ে।

এবছর বগুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন সাদিয়া। তার মেধাক্রম ২৪৫২। তার এ সাফল্যে এলাকাবাসী উচ্ছ্বসিত হলে মেয়ের পড়ালেখার খরচ মেটানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাদিয়ার বাবা। চা সিঙ্গাড়ার দোকান ছাড়া আর কোনো আয় নেই তার বাবার। একদিকে মেয়ের চোখে ডাক্তার হবার স্বপ্ন। অন্যদিকে বাবার চোখে হতাশার কালোমেঘ। তবে কি সাদিয়ার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যাবে?

সাদিয়ারা চার ভাই বোন। বড়ভাই বাদশা পড়ছেন রহনপুর ইউসুফ আলী কলেজে সম্মান তৃতীয়বর্ষে। একই কলেজ থেকে সাদিয়া এবছর জিপিএ ৫ নিয়ে এইচএসসি পাস করেছেন। আর ছোটবোন আখিঁ খাতুন পড়ছেন রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে। সাদিয়ারা দুইবোনই জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি সব পাবলিক পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছেন।

বাবা সামান্য চায়ের দোকানে রাতদিন খেটে সংসার সামলান। ছেলেমেয়েদের পড়ার যোগাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েও যদি টাকার অভাবে মেয়েটার লেখাপড়া করাতে না পারেন এ দুশ্চিন্তায় এখন রফজুল এবং তার পরিবারের সদস্যরা। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন সাদিয়ার পিতা। সাদিয়ার পড়ালেখায় কেউ সহযোগিতা করলে পরিবার চিরকৃতজ্ঞ থাকবে বলে জানান রফজুল হক।


সর্বশেষ সংবাদ