প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নাটোরে চলছে কোচিং বাণিজ্য

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই নাটোরে চলছে কোচিং বাণিজ্য। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সুকৌশলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছেন কিছু অসাধু শিক্ষক। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে ও মুঠোফোনের মাধ্যমে অভিভাবকদের বুঝানো হচ্ছে পুলিশের অনুমতি নিয়েই কোচিং চালাচ্ছি এবং এভাবেই শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে উপস্থিতি করছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ জেলার অধিকাংশ উপজেলাতেই কোচিং বাণিজ্য চলছে। বিশেষ করে নাটোর সদরসহ বড়াইগ্রাম, লক্ষীকোল, মহানন্দগাছা, বাঘাইট, গুরুদাসপুর ও লালপুরের বিভিন্ন এলাকায় বহাল তবিয়তে চলছে এই কোচিং বাণিজ্য।

সম্প্রতি এসব এলাকার কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও লালপুরের একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, কিছু অসাধু শিক্ষক কলেজে পড়ুয়া ছাত্রদের সহযোগিতায় ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রামের কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষের বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে।

করোনা সংক্রমনের মধ্যেও কোচিং সেন্টার চালানো প্রসঙ্গে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার পারভেজ বলেন, কোচিং সেন্টারসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোনও ক্রমেই কোচিং সেন্টার চালাতে পারবে না কেউই। যদি কেউ কোচিং সেন্টার চালায়, সে যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ১৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপসচিব মো. আবু নাসের বেগ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে শিশুদের সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ-নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জেলার সব কোচিং সেন্টার বন্ধসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সচেতন মহল।


সর্বশেষ সংবাদ