শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ঈদের পর

  © ফাইল ফটো

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান সাধারণ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকলেও ঈদুল ফিতরের পর খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, রমজানের আগে আবাসিক শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসলে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

আজ মঙ্গলবার গণভবনে এ নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, খাদ্যমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত থাকবেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলমান বন্ধের পর ১১ এপ্রিল খোলা কথা থাকলেও তা খুলবে রমজানের ঈদের পরে। কারণ হিসাবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলগুলোও। এতে করে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। এখন যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়, তাহলে সকল শিক্ষার্থীই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসবে, এতে করে ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদুল ফিতরের পরে খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনির্ধারিত বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল,পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ কয়েকজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সরকারি তহবিল থেকে দরিদ্রদের মাঝে অর্থ, খাদ্য বিতরণ যাতে যথাযথভাবে করা হয় সেই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আজ সকাল ১০ টায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন।

এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এগুলো দেখে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে।’

যেকোন দুর্যোগ সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিম্ন আয়ের সবাইকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। এর বাইরেও সবাইকে তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে। প্রয়োজনে তাদের মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে দেয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ