করোনাভাইরাস: পেছানো হবে এইচএসসি পরীক্ষা!

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তাররোধে আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো হতে পারে। বুধবার প্রথমবারের মতো দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত জাতীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা স্থগিত করেছে।

এর আগে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীন কেন্দ্র সচিবদের সভাও স্থগিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পরস্থিতি পর্যাবেক্ষণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

পরীক্ষা পেছানোর ব্যাপারে গত সোমবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখব। এজন্য পরীক্ষার তারিখের কাছাকাছি সময় গিয়ে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সতর্কতামূলক যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জানা গেছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছানো ও কেন্দ্র প্রস্তুতসহ সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষ করা পর্যন্ত কয়েক লাখ কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জড়িত। পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে সভা করতে হয়। একে অপরের সংস্পর্শে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরীক্ষা স্থগিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবারের বৈঠকটি স্থগিত করা হলেও তা পরবর্তীতে হবে। এর সঙ্গে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সর্ম্পক নেই। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেব। 

অভিভাবকরা জানান, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা স্কুল-কলেজের পাশাপাশি কোচিং ও প্রাইভেট নির্ভর। সহপাঠীদের সঙ্গেও শেয়ারিং করে পড়াশোনা করে। সরকার শিক্ষার্থীদের বাসায় থাকতে বলেছে। এখন তারা কীভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে- প্রশ্ন রাখেন অভিভাবকরা। শেষ ১৫ দিন একজন পরীক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় শর্ট সাজেশন্স তৈরি, বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ারিং করে বিশেষ প্রস্তুতি নেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণার পর পরীক্ষার্থীরা বাসাতেই অবস্থান করছেন। তারা শিক্ষকদের কাছেও যেতে পারছেন না। এতে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি বিঘ্নিত হচ্ছে।

সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির (সকশিস) সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীসহ সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতি পরীক্ষা স্থগিত করা উচিত।


সর্বশেষ সংবাদ