বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে

  © টিডিসি ফটো

পর্যায়ক্রমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহেও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি বাস্তবায়ন করবো। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হবে।

আজ মঙ্গলবার কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ইউজিসেতে এক সৌজন্য সাক্ষাতে আসলে এ কথা বলেন তিনি।  

এসময় ক্যাবের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান ও গবেষণা কমিশনের সভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ, ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর ও কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আমাদের এক্ষেত্রে একটি ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সকলের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। এক্ষেত্রে সবার অব্যাহত সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

তিনি বলেন, সবাই চাচ্ছে সমন্বিত পদ্ধতিতে এবারে ভর্তি পরীক্ষা হোক। তিনি প্রশ্ন রাখেন, পশ্চিমা বিশ্ব যদি কেন্দ্রীয়ভাবে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারে আমরা কেন পারব না? সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা দৃঢ়। এটি বাস্তবায়নে কোন ছাড় নেই। কোন বিশ্ববিদ্যালয় যদি অপারগ হয় সেক্ষেত্রে তাদেরকে ছাড়াই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় ক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা এখন জাতীয় দাবি। এটি বাস্তবায়নে রাষ্ট্র বা সরকার অসহায় ও নতি স্বীকার করতে পারে না। ক্যাবের মতে, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। সেজন্য জাতীয় প্রত্যাশা থেমে থাকতে পারে না। 

সভায় ক্যাব সভাপতি বলেন, সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত ইউজিসি’র পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে ইউজিসি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবে।

ক্যাব এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে খুবই অনীহ। এতে নাগরিক অধিকার বিপন্ন হচ্ছে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ। ইউজিসি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করে দিলে ক্যাব সেটি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচষ্টা চালাবে।

সভায় সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, দেশে অপরিকল্পিতভাবে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। কোথায় মানসম্পন্ন, দক্ষ শিক্ষক পাবে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। বুঝতে হবে উচ্চশিক্ষা নাগরিকের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নয়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে আজ অরাজকতা চলছে। কেউ কেউ সার্টিফিকেট বাণিজ্য করছে। ফলে মেধাবী ও দক্ষ গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে না। উচ্চ শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করা অনুচিত।


সর্বশেষ সংবাদ