নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল

  © ফাইল ফটো

দেশের নিম্ন আদালতের বিচারক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল করে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালার বিধি-৫ এর উপবিধি-৮ এ বলা ছিল, প্রবেশ পদে প্রার্থী মনোনয়ন ও নিয়োগদানের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে।

অবশ্য শর্ত ছিল, শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে নারীদের মধ্য থেকে ২০ শতাংশ মনোনয়ন ও নিয়োগ দান করা সম্ভব হলে এ কোটা সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে না। নতুন করে সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (সার্ভিস গঠন, সার্ভিস পদে নিয়োগ এবং সাময়িক বরখাস্তকরণ, বরখাস্তকরণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৭’ সংশোধন করে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সরকারি চাকরিতে জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেড (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল ছিল। সম্প্রতি কর্ম কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, অষ্টম গ্রড থেকে এবং এর ওপরের অর্থাৎ প্রথম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না।

জানা গেছে, মেধার ভিত্তিতে নারীদের মধ্যে ২০ শতাংশ প্রার্থী মনোনয়ন সম্ভব না হলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ থেকে মেধার ভিত্তিতে ২০ শতাংশ পূরণের জন্য যত সংখ্যক প্রার্থী প্রয়োজন হবে, সে সংখ্যক প্রার্থীর জন্য কোটা সংরক্ষণ করতে বলা হয় বিধিমালায়। তবে এখন সংশোধন করে বলা হয়েছে, সার্ভিসের প্রবেশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে বিধি-৫ এর উপবিধি-১ এর ক-দফায় বলা হয়েছিল, কোনো ব্যক্তিকে সার্ভিসের প্রবেশ পদে নিয়োগ করা যাবে, যদি তিনি কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির এলএলএম ডিগ্রিধারী হন।

তবে এখন সংশোধন করে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তিকে সার্ভিসের প্রবেশ পদে নিয়োগ করা যাবে যদি তিনি কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) অথবা আইন বিষয়ে স্নাতক অথবা কোনো স্বীকৃত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে তিন বছর মেয়াদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হন।

শর্ত দেয়া হয়েছে, ওই ব্যক্তিকে আইন বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা ক্ষেত্রমত, আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ প্রাপ্ত হতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ