৩য় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে ১০০ নম্বর পরীক্ষা, প্রজ্ঞাপন জারি

সরকারের সব দফতরের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে এখন থেকে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে চাকরি প্রত্যাশীদের।  নিয়োগ পরীক্ষার নতুন এ বিধান করে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর)‘মন্ত্রণালয়, এর সংযুক্ত বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর ও দফতরের  কমন পদে নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯’-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রার্থীদের ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অবর্তীণ হতে হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান—এই চারটি বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর সর্বনিম্ন পাস নম্বর হবে ৫০ শতাংশ। আর মৌখিক পরীক্ষার নম্বর থাকবে ৩০।

জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি তার সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে এই বিধিমালা প্রণয়ন করেছেন।

প্রজ্ঞাপন

 

নিয়োগ বিধিমালায় তৃতীয় শ্রেণির বিভিন্ন পদে নিয়োগের বয়সসীমা, নিয়োগ পদ্ধতি ও যোগ্যতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিধিমালার তফসিলে এসব পদে নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতিও উল্লেখ করা হয়েছে।এতে বলা হয়েছে—উচ্চমান সহকারী, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক-কাম-অফিস সহকারী, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও প্লেইন পেপার কপিয়ার পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ৭০নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে।

এর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজিতে ১৫ নম্বরের এবং গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ১৫ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় ৯০ মিনিট এবং এর সর্বনিম্ন পাসের হার ৫০ শতাংশ। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত হবেন। মৌখিক পরীক্ষার নম্বর হবে ৩০।

এছাড়া স্ব-স্ব পদের জন্য প্রয়োজনীয় সাঁটলিপি ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই পদগুলোর মতো ফটোকপি অপারেটর, ডেসপাচ রাইটার ও অফিস সহায়ক পদেও সরাসরি নিয়োগে ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ৩০ নম্বরের মৌখিত পরীক্ষা দিতে হবে। এক্ষেত্রে  লিখিত পরীক্ষায় বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, গণিত-২০ ও সাধারণ জ্ঞান-১০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর সময় এক ঘণ্টা। পাসের সর্বনিম্ন নম্বর ৫০ শতাংশ।

নতুন প্রজ্ঞাপনে পূর্বের কয়েকটি বিধিমালাও বাতিল করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নতুন এই বিধিমালার জারির মাধ্যমে ‘দ্য টাইপিস্ট (মিনিস্ট্রিজ, ডিভিশনস অ্যান্ড এটাচড ডিপার্টমেন্টস) রিক্রুটমেন্ট রুলস-১৯৭৮; ‘দ্য  স্ট্যানোগ্রাফার অ্যান্ড স্ট্যানো-টাইপিস্ট (মিনিস্ট্রিজ, ডিভিশনস অ্যান্ড এটাচড ডিপার্টমেন্টস)-১৯৭৮ এবং নিম্নমান সহকারী-তথা-মুদ্রাক্ষরিক, প্লেইন পেপার কপিয়ার, ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর, ডেসপাচ রাইটার, দফতরি, এমএলএসএস (মন্ত্রণালয় ও এর সংযুক্ত অধিদফতর) বিধিমালা ১৯৯৩ বাতিল করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ