ওয়াইফাইয়ের গতি বাড়ান ৫ উপায়ে

  © ফাইল ফটো

ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের একদিনও চলা সম্ভব না এখন। আর ঘরে বা অফিসে বসে নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এখন ওয়াইফাইয়ের কোনো বিকল্পই নেই। নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পেতে আপনার ওয়াইফাইয়ের গতি আপনি নিজেই বাড়ান এভাবে-

১. রাউটারের অবস্থান দেখুন:

কানেকশন নেয়ার সময় তারের পরিমাণ কম রাখার জন্য জানালার পাশে ঘরের এক কোণে রাউটার রেখে দেয়া ভুল সিদ্ধান্ত। সবচেয়ে ভালো কাভারেজ পেতে রাউটারকে বাড়ির মাঝের ঘরে রাখুন। মনে রাখবেন, ওয়াই-ফাই ওমনি-ডাইরেকশনালি ছড়ায়।

অর্থাৎ চোঙ থেকে আওয়াজ যেভাবে বার হয় অনেকটা সে রকমই রাউটারকে কেন্দ্র করে সিগনাল ছড়াতে থাকে। তাই এক কোণে রাখলে অর্ধেক সিগনাল বাড়ির বাইরে চলে যাবে। ফলে স্পিড এমনিতেই কম পাবেন।

২. চোখের উচ্চতায় রাখুন:

মাটি থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় রাউটারটি বসালে সিগনাল সবচেয়ে ভালো মেলে। মোটামোটি নিজের চোখের উচ্চতায় রাউটার রাখুন। সিগনালে ব্যঘাত ঘটাতে পারে এমন কোনও ডিভাইসের সঙ্গে রাউটার রাখবেন না। যেমন, কর্ডলেস ফোনের বেস, অন্য কোনও রাউটার, প্রিন্টার, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।

৩. কম ডিভাইস কানেক্ট করুন:

বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান বা পার্টি রয়েছে। বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়রা সকলেই আসছেন। ঠিক করলেন, বাড়ির ওয়াই-ফাই সবার ব্যবহারের জন্য কানেক্ট করে দেবেন। সেই সঙ্গে নিজেও টুকটাক কাজ করে নেবেন। মনে রাখবেন এক সঙ্গে বেশি জিভাইস কানেক্ট করলে ওয়াই-ফাই স্পিড অত্যন্ত কমে যাবে।

এখন বেশ কিছু রাউটারে ডিভাইস ব্লক করার অপশন রয়েছে। যদি দেখেন কোনও নির্দিষ্ট ডিভাইস বেশি ব্যান্ডউইডথ টেনে নিচ্ছে, তাকে ব্লক করুন। শুধু ইন্টারনেট সার্ফ করার জন্য ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে বলুন। যদি কেউ কিছু ডাউনলোড করতে চান, তাকে অপেক্ষা করতে বলুন বা নিষেধ করুন।

৪. রিপিটার কানেক্ট করুন:

ওয়াই-ফাই স্পিড বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দেবে রিপিটার। বাজারে এবং অনলাইন শপিং সাইটে বহু রিপিটার পেয়ে যাবেন। দাম মোটামোটি ১ হাজার টাকা থেকে শুরু। কনফিগার করাও খুব সহজ। বাড়িতে যদি পুরনো কোনো ভালো রাউটার থাকে সেটাও রিপিটার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এর জন্য সেটিং পেজে গিয়ে কনফিগার করতে হবে।

৫. USB রাউটার ব্যবহার করুন:

রাউটার কেনার আগে দেখে নিন তাতে USB পোর্ট আছে কিনা। চেষ্টা করুন USB পোর্টযুক্ত রাউটার কিনতে। কারণ USB পোর্ট থাকলে তাতে এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ কানেক্ট করতে পারেন। এটা নেটওয়র্ক স্টোরেজের মতো কাজ করতে সমস্ত কানেক্টেড ডিভাইজের জন্য।

প্রিন্টারও কানেক্ট করতে পারেন। এতে কোনও একটি ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট করার প্রয়োজন পড়বে না। নেটওয়ার্কে থাকা যে কোনো ডিভাইস থেকে প্রিন্ট দেয়া যাবে। সাধারণত দেখা যায়, এ ধরনের রাউটার বেশ শক্তিশালী হয়। তাতে সিগনালও বেশ ভালো পাওয়া যায়।


সর্বশেষ সংবাদ