আজ চালু হচ্ছে ট্রেসিং অ্যাপ, জানিয়ে দেবে আশপাশে কত করোনা রোগী

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে আজ চালু হচ্ছে স্মার্টফোনের অ্যাপ। অ্যাপটি নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা প্রায় দুই মাস ধরে কাজ করছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই অ্যাপ চালু করতে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক বলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা ঘরে বসে করোনা পরীক্ষা, ভার্চুয়াল হাসপাতাল, হোয়াটসঅ্যাপ ও ভাইবার মেসেঞ্জার, কভিড-১৯ ট্র্যাকারসহ নানা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করেছি। নাগরিকদের সুরক্ষায় কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ নিয়ে আমরা বেশ কিছু দিন থেকে কাজ করছিলাম। অবশেষে আমরা এটি চালু করতে পেরেছি। বৃহস্পতিবার এর উদ্বোধন করা হবে।’

এই অ্যাপ কিভাবে কাজ করবে জানতে চাইলে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ ডাউনলোড করার পর স্মার্টফোনের লোকেশন এবং ব্লুটুথ অন রেখে বাড়ির বাইরে বের হলে এটি এক-দুই মিটারের মধ্যে যারা থাকবে তাদের হিস্ট্রিগুলো আমাদের ডাটাবেইসে পাঠাবে। কেউ যদি আক্রান্তের কাছাকাছি চলে যায় তাহলে সে স্মার্টফোনে অ্যালার্ট পাবে। তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা যদি কয়েক দিন পরও করোনা পজিডিভ হয় তাহলেও স্মার্টফোন থেকে সতর্কবার্তা পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে ফোন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হবে।’

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা মনে করছি এটা যেহেতু একটি দীর্ঘায়িত সমস্যা, তাই কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপটি আমাদের সবাইকে ব্যবহার করতে হবে।’

জানা গেছে, এটি গুগল প্লেস্টোর থেকে যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ডাউনলোড করা যাবে। এই অ্যাপটি তৈরি করতে আইসিটি বিভাগের নেতৃত্বে পাঁচটি সংস্থা কাজ করেছে। তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, প্রযুক্তি পার্টনার হিসেবে সহজ ডিজিটাল সল্যুশনস কাজ করেছে।

করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রাদুর্ভাবের শিকার দেশগুলোতে এরই মধ্যে কন্টাক্ট ট্রেসিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, অ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ও অবস্থানগত ডাটা তাদের ফোনেই সীমাবদ্ধ থাকবে, অন্য কেউ পাবে না। তাই ব্যক্তির অগোচরে অ্যাপের অপারেটর তাদের ওপর নজরদারি করতে পারবে না। করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসার বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে কি না তা নির্ধারণের পুরো স্বাধীনতা ব্যক্তির থাকবে।

ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, হংকং, রাশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে এটি চালু হয়েছে। লোকেশন ম্যাপ, কিউআর (কুইক রেসপন্স) কোড ফিচার ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছে এসব দেশের নাগরিক। তবে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়া হতে পারে শঙ্কায় এই ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনট নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ