যে বাঙালির সহযোগিতায় দেশেই তৈরি হচ্ছে জীবন রক্ষার ভেন্টিলেটর

  © সংগৃহীত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। শুধু জীবন রক্ষাকারী ভেন্টিলেটরের অভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে, বাঁচাতে পারছে না অনেক জীন।

করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে বাংলাদেশে ভেন্টিলেটর তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন। তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে আমেরিকান কোম্পানি মেডট্রনিক। কিন্তু কেন আমেরিকান কোম্পানি এই গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি দিয়ে ওয়ালটনকে সহযোগিতা করবে?

সেই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে ডিফেন্স রিসার্স ফোরামের একটি ফেসবুক পোস্টে। সেখানে উঠে এসেছে এক বাঙালির অবদানের কথা। আজ মঙ্গলবার তাদের দেয়া স্ট্যাটাসটি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

‘ফুসফুসের ব্রোংকিউলগুলো যখন ফ্লামেটেড হয় এবং জলীয় পদার্থ জমে তখন শ্বসনের মাধ্যমে নেয়া অক্সিজেন অক্সিহিমোগ্লোবিনে রুপান্তরে বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন শুরু হয় শ্বাসকষ্ট এবং নিউমোনিয়া। এরূপ সময় শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে ভেন্টিলেটর লাগে এবং এটি তৈরি করা এত সহজ কোন বিষয় না।

আপনারা জেনেছেন, ওয়ালটন দেশে ভেন্টিলেটর তৈরি করতে যাচ্ছে। কিন্তু এত হাইটেক জিনিস তারা কিভাবে বানাবে? বলা হচ্ছে আমেরিকান কোম্পানি Medtronic ওয়ালটন কে সব ধরণের সহায়তা করবে।

এখানে প্রশ্ন আসে Medtronic কেন ওয়ালটনকে এই ক্রান্তিকালে সহায়তা করছে? এর পেছনে একজন বাঙ্গালীর প্রতি কৃতজ্ঞতা না প্রকাশ করলে অন্যায় হবে। তিনি হলে বিশ্বের এক নম্বর মেডিকেল ইকুইপমেন্ট নির্মাতা কোম্পানি Medtronic এর CEO ওমর ইসরাক। এই কোম্পানির সম্পদের পরিমান ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

সারা বিশ্বে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ কাজ করে এই কোম্পানিতে। ঠিক এরকম একটি কোম্পানির CEO ওমর ইসরাক ঢাকায় জন্মগ্রহন করা এবং সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়া একজন গর্বিত বাঙ্গালী। তার আরেকটি পরিচয় আছে। Intel-কে চেনেনা এমন কোন মানুষ নেই। ওমর ইসরাক এই Intel কোম্পানির চেয়ারম্যান।

ফেসবুকে ভারতীয়রা গর্ব করে নাসায় তাদের অমুক অমুক বিজ্ঞানী আছে, গুগলে আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমারা বাংলাদেশীরা কখনো এদেশের সফল মানুষদের চিনতে চাইনা। আগ্রহ পাইনা। ডেফ্রেস-এর আগে বেশ কয়েকটি পোস্টের মাধ্যমে এরকম অনেক বাংলাদেশির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।

কোভিট-১৯ এর এই দুর্যোগে ইসরাক Medtronic কোম্পানির তৈরি করা PB-560 ভেন্টিলেটর এর স্বত্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। যে কেউ চাইলে এখন থেকে ডিজাইন এবং স্পেসিফিকেশন নিয়ে এটি তৈরি করতে পারবে। ওয়ালটনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে Medtronic।

শ্রদ্ধা স্যারের প্রতি। আমাদের সকলকে এই ক্রান্তিকালে এক হতে হবে। লড়তে হবে। গুজব থেকে দূরে থাকতে হবে আর স্বাস্থবিধি মেনে চলতে হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ