৫০ পয়সা দামে এক কেজি শসা!

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসায় হঠাৎ করেই দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে পড়েছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের শসাচাষিরা। কেজি প্রতি মোটে ৫০ পয়সা হওয়ায় এক বস্তা শসা বেচেও ৪০ টাকায় একটা মাস্ক কিনতে না পারছেন বলে দাবি কৃষকদের। এই পরিস্থিতিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মানববন্ধন করেছেন দুই শতাধিক কৃষক। সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ী বাজারের পাশে কৃষকরা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে কৃষকরা ক্ষেত থেকে আর শসা তুলবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কৃষকরা জানান, ঝাড়বাড়ী এলাকার প্রায় ২শ’ একর জমিতে ৩ শতাধিক কৃষক শসার আবাদ করেছেন। বর্তমানে শসার উৎপাদন মৌসুম। এখানকার শসা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকায় শসা বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

তারা জানান, পাইকাররাও বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে না পেরে শসা ক্রয় করছেন না। কয়েকদিন আগে যেখানে শসার দাম ছিল কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা সেখানে এখন শসার দাম নেমে এসেছে মাত্র ৫০ পয়সায়। এরপরও ব্যবসায়ীরা শসা ক্রয় করছেন না। ফলে শসা জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে জমি থেকে শসা তুলে গরু-ছাগলকে খাওয়াচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হবেন বলে দাবি করেন তারা। তাই করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকদের দিকে নজর দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাপক পরিমাণে শসা আবাদ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি শসা আবাদ হয় শিবরামপুর, পলাশবাড়ী ও শতগ্রাম ইউনিয়নে। এসব এলাকা শসার গ্রাম হিসেবে পরিচিত । আর এখানকার উৎপাদিত শস্যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ ট্রাক শসা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠান।

 


সর্বশেষ সংবাদ