অনলাইনে যৌন হেনস্তা শনাক্ত করবে সফটওয়্যার

প্রতীকি ছবি
প্রতীকি ছবি  © ফাইল ফটো

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে বুলিং এবং যৌন হেনস্তা সনাক্তে একটি সফটওয়্যার তৈরি করছে শিকাগোর এআই ফার্ম ‘নেক্সএলপি৷’

সফটওয়্যারটি গাণিতিক পরিভাষা ব্যবহার করে কম্পিউটার ডকুমেন্টস, ইমেইল বা চ্যাট পরীক্ষা করে বুলিং বা যৌন হেনস্তামূলক কিছু আছে কিনা তা সনাক্ত করবে৷ নানা ইন্ডিগেটর তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করবে এবং কোনো সমস্যা আছে কিনা তা খুঁজবে৷ যদি সফটওয়্যার সন্দেহজনক কিছু খুঁজে পায় তবে বিপদ সংকেত দেবে এবং তদন্তের জন্য সেগুলো একজন আইনজীবী বা কোম্পানির মানব সম্পদ ব্যবস্থাপকের কাছে পাঠাবে৷ তবে ঠিক কোন ধরনের ইন্ডিগেটর বিপদ সংকেত হিসেবে লাল পতাকা দেখাবে তা গোপন রেখেছে নেক্সএলবি৷

লন্ডনের ল ফার্মসহ বিশ্বের ৫০টির বেশি কর্পোরেট ফার্ম নেক্স এর নানা সফটওয়্যার ব্যবহার করে৷ যারা নেক্সএলপির কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা সম্পন্ন নতুন ওই সফটওয়্যার পরীক্ষার ক্ষেত্র হতে পারে৷ কারণ, লন্ডনে প্রতি তিনজন নারী আইনজীবীর একজন যৌন হেনস্তার শিকার হন৷

নেক্সএলপির প্রধান নির্বাহী জাই লিব বলেন, আমার মনে হয় এটা শুধু অশ্লীল কথা বলা৷ কিন্তু বিষয়টা তা নয়, এটা আরো অনেক ভাবে হতে পারে৷ হতে পারে ১৫টি ম্যাসেজ পাঠিয়েছে...বা হতে পারে অশালীন ছবি৷ সফটওয়্যারটি কথোপকথনে ব্যতিক্রমী শব্দ, কয়েক সপ্তাহ ধরে অনলাইন যোগাযোগের সময় বা কতবার করা হয়েছে ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবে৷

হার্ভার্ড ও এমআইটির লেকচারার অধ্যাপক ব্রিয়ান সুবিরানা আনলাইনে বুলিং ও যৌন হেনেস্তা নির্মূলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের এই পরিকল্পনা আশাপ্রদ বলে মনে করেন৷ তবে তিনে এও বলেন, সফটওয়্যারটির সক্ষমতায় অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷ কারণ, কোনো কোনো সময় এত সুক্ষ্মভাবে হেনস্তা করা হয় যে তার প্রমাণ খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়৷ হার্ভাডে আমাদের ওই ধরনের হেনস্তা বুঝতে প্রশিক্ষন দেওয়া হয় এবং এজন্য এক ধরনের বিবেচনাশক্তি থাকা প্রয়োজন৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখনো সেগুলো বুঝতে সক্ষম না৷

তথ্য সূত্র: ডয়চে ভেলে


সর্বশেষ সংবাদ