গুজবে লবণ কেনার হিড়িক!

লাইন দিয়ে লবণ কিনছেন ক্রেতারা
লাইন দিয়ে লবণ কিনছেন ক্রেতারা   © সংগৃহীত

‘২০০ টাকা হবে লবণের কেজি’ এমন গুজবে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ঘাঘর বাজারে লবণ কেনার হিড়িক পড়েছে জসসাধারণের মাঝে। এ বাজারের প্রায় অর্ধশতাধিক পাইকারি ও খুচরা দোকানে সামনে লাইন দিয়ে খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের লবণ ক্রয় করতে দেখা গেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিংয়ে নামতে হয়েছে।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাত থেকে কোটালীপাড়া উপজেলায় লবণের কেজি ২০০ টাকা হবে এমন ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ঘাঘর বাজারে লবণের ডিলার, পাইকারি বিক্রেতা ও খচরা বিক্রেতাদের দোকানে লবণ ক্রয়ের জন্য ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার মধ্যে ডিলার ও অনেক পাইকারির ব্যবসায়ীর গোডাউন লবণশূন্য হয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মাঠে নামে। হঠাৎ করে এভাবে লবণ ক্রয়ের কারণে অনেক ডিলার বা পাইকারি ব্যবসায়ীরাও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

মধুমতি সল্টের কোটালীপাড়ার ডিলার জালাল শেখ বলেন, একটি গুজবের ভিত্তিতে জনগণ হঠাৎ করে এভাবে লবণ ক্রয় শুরু করেছে। আমরা পূর্বের দামেই লবণ বিক্রি করছি। এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। লবণের পাইকারি ব্যবসায়ী গণেশ সাহা বলেন, সকাল থেকেই আমাদের দোকানে লবণ ক্রয়ের জন্য সাধারণ জনগণ ও খুচরা বিক্রেতারা ভিড় করে। দুপুর ১২টার মধ্যে আমাদের দোকানের সমস্ত লবণ বিক্রি হয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রেতা বলেন, গতকাল রাতে ঢাকা থেকে আমার এক আত্মীয় ফোন করে আমাকে জানিয়েছেন লবণের কেজি ২০০ টাকা হবে। তাই মঙ্গলবার সকালে এসেই ঘাঘর বাজার থেকে ১০ কেজি লবণ ক্রয় করেছি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহসিন উদ্দিন বলেন, লবণের মূল্যবৃদ্ধির গুজবের কারণে ঘাঘর বাজারে সকাল থেকেই লবণ কেনার হিড়িক পড়ে। খবর পেয়ে আমরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাজারে ছুটে আসি। প্রত্যেক ডিলারকে বলে দিয়েছি পূর্বে তারা ব্যবসায়ীদের কাছে যে পরিমাণ লবণ বিক্রি করত এখন সেই পরিমাণ বিক্রি করতে হবে। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদেরকে ১ কেজি থেকে ২ কেজির ওপরে লবণ বিক্রি করতে নিষেধ করেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোটালীপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে লবণের কোনো সঙ্কট নেই। তাই দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভবনাও নেই। কোনো ডিলার বা ব্যবসায়ী যদি বাজারমূল্যোর চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ