প্রতি ৩ তরুণ-তরুণীর মধ্যে ১ জন অনলাইনে নিপীড়নের শিকার

  © প্রতীকী ছবি

প্রতি তিনজন তরুণ-তরুণীর একজন জানিয়েছেন, তারা অনলাইনে উৎপীড়নের শিকার। এছাড়াপ্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন সাইবার উৎপীড়নের কারণে স্কুল বাদ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ৩০টি দেশের তরুণ-তরুণীরা এ মতামত প্রকাশ করেছেন।

ইউনিসেফ এবং শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি (এসআরএসজি) কর্তৃক বুধবার নিউইয়র্ক ও ঢাকা থেকে একযোগে প্রকাশিত এক জরিপের ফলাপলে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩২ শতাংশ জানান, অনলাইনে উৎপীড়ন বন্ধে সরকারকেই দায়িত্ব নেওয়া উচিত বলে তারা মনে করেন। এছাড়া জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩১ শতাংশ এক্ষেত্রে তরুণ সমাজের এবং ২৯ শতাংশ ইন্টারনেট কোম্পানির দায়িত্বের কথা উল্লেখ করেন।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যুব সমাজের সম্পৃক্ততায় ‘ইউ-রিপোর্টে’র মাধ্যমে তরুণ-তরুণীরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে এই জরিপে অংশগ্রহণ করেন। তাদের তিন-চতুর্থাংশ বলেছেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট ও টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অনলাইন উৎপীড়নের সবচেয়ে পরিচিত স্থান।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, ‘সংযুক্ত শ্রেণিকক্ষের অর্থ হচ্ছে একজন শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই স্কুলের কার্যক্রম শেষ হয় না এবং দুর্ভাগ্যবশত, স্কুলপ্রাঙ্গণে উৎপীড়নও শেষ হয় না। তরুণ সম্প্রদায়ের শিক্ষার অভিজ্ঞতা উন্নত করার অর্থ হচ্ছে তারা অনলাইন এবং অফলাইনে যে পরিবেশের মুখোমুখি হয় তা বিবেচনায় নেওয়া।’

জরিপের অংশ হিসেবে ক্ষুদ্রবার্তা এবং তাৎক্ষণিক বার্তাপ্রেরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের কাছে তাদের অনলাইনে উৎপীড়ন ও সহিংসতা (যা অনলাইনে প্রায়শই ঘটে থাকে) বিষয়ক অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় এবং এটা বন্ধ করার দায়িত্ব কার বলে তারা মনে করেন, সেটাও জানতে চাওয়া হয়।

শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি (এসআরএসজি) নাজাত মাল্লা মজিদ বলেন, ‘তাদের মতামত থেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে বার্তাটি আমরা পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি তা হচ্ছে, শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা ও অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা। যখন জানতে চাওয়া হয় যে সাইবার উৎপীড়ন বন্ধের দায়িত্ব কার হওয়া উচিত, তখন তারা প্রায় সমানভাবে সরকার, ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী (বেসরকারি খাত) ও তরুণ জনগোষ্ঠীর কথা বলেছে।

এখানে আমরা সবাই একত্রে আছি এবং অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই দায়িত্বটি ভাগ করে নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

১৩-২৪ বছর বয়সী এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি ইউ-রিপোর্টার এই জরিপে অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে আছেন আলবেনিয়া, বাংলাদেশ, বেলিজ, বলিভিয়া, ব্রাজিল, বুর্কিনা ফাসো, আইভরি কোস্ট, ইকুয়েডর, ফ্রান্স, গাম্বিয়া, ঘানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জ্যামাইকা, কসোভো, লাইবেরিয়া, মালাবি, মালয়েশিয়া, মালি, মোলদোভা, মন্টিনিগ্রো, মিয়ানমার, নাইজেরিয়া, রোমানিয়া, সিয়েরা লিওন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম ও জিম্বাবুয়ের তরুণরাও।


সর্বশেষ সংবাদ