নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ৫ ডলার ঘুষ

  © সংগৃহীত

ভিক্টোরিয়া নামের ১১ বছর বয়সী এক শিশু নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নকে ৫ ডলার 'ঘুষ' দিয়েছিল। ড্রাগন বিষয়ে গবেষণা করার অনুরোধ করে শিশুটি এই ঘুষ দিয়েছিল। যা জাসিন্ডা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ড্রাগনদের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতে চায় ভিক্টোরিয়া। তাই সে সরকারকে ড্রাগন বিষয়ে গবেষণার অনুরোধ করেন। প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নকে একটি চিঠি পাঠায় শিশুটি। চিঠির সাথে নিউজিল্যান্ডের ৫ ডলার (৩.২ মার্কিন ডলার বা ২.৫ পাউন্ড) যুক্ত করে পাঠায় সে। আপাতদৃষ্টিতে সেটিকে ঘুষ হিসেবেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

ভিক্টোরিয়ার চিঠির জবাব দিয়েছেন মিজ আরডর্ন। সরকারি খামে পাঠানো ওই চিঠিতে তিনি ভিক্টোরিয়াকে লিখেছেন, তার প্রশাসন বর্তমানে ড্রাগন নিয়ে কোনো কাজ করছে না। তাই তার ঘুষও এ মুহুর্তে গ্রহন করা যাচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, পুনশ্চ: ওই ড্রাগনগুলো সম্পর্কে আমি খোঁজ রাখবো! তারা কি স্যুট পড়ে?

চিঠি বদলের ঘটনা প্রথম জানা যায় ওয়েব ফোরাম রেডিটের মাধ্যমে। সেখানে এক রেডিট ব্যবহারকারী দাবি করেন, তার ছোটবোন আরডর্নকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তিনি বলেন, আমার ছোটবোন চেয়েছিল নিউজিল্যান্ড সরকার ড্রাগন বানায়। সে আরও জানতে চেয়েছিল, নিউজিল্যান্ড সরকার ড্রাগন সম্পর্কে কী কী জানে ও তারা কোনো ড্রাগনের খোঁজ পেয়ছে কিনা, পেলে যেন তাকে সেগুলো প্রশিক্ষণের জন্য দেয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত জানিয়েছে, ৩০ এপ্রিল চিঠিটির জবাব দিয়েছেন আরডর্ন। জবাবে ভিক্টোরিয়াকে চিঠি পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন আরডর্ন। তিনি তার চিঠিতে লিখেন, আমরা ড্রাগন নিয়ে তোমার পরামর্শ পড়তে খুবই আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আপাতত আমরা এই খাতগুলোতে কোনো কাজ করছি না। তাই, আমি তোমাকে তোমার ঘুষের অর্থ ফেরত পাঠাচ্ছি। ড্রাগন নিয়ে তোমার অনুসন্ধানে আমার শুভকামনা রইলো।

উল্লেখ্য, এর আগেও শিশুদের চিঠির জবাব দিয়েছেন গতবছর কন্যা সন্তানের জন্মদানকারী আরডর্ন। গত মার্চে লুসি নামের এক আট বছর বয়সি মেয়ে আরডর্নের অস্ত্র নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে এক চিঠি পাঠায়। তাতে সে লিখে, বিপজ্জনক অস্ত্র নিষিদ্ধ করে দেওয়া একটা ভালো পদক্ষেপ।


সর্বশেষ সংবাদ