সিনেটে বহাল থাকছেন নুর-রাব্বানীরা

  © ফাইল ফটো

গত ২০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে গেছে। ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি ভেঙে গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সিনেট প্রতিনিধি হিসেবে বহাল তবিয়তেই থাকছেন ডাকসুর পাঁচ নেতা।

পরবর্তী সিনেট সদস্য না আসা পর্যন্ত এবং ছাত্রত্ব থাকায় ডাকসুর ভিপি নুরুল হক, জিএস গোলাম রাব্বানী, সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন ছাত্র-ছাত্রীদের সিনেট প্রতিনিধি হিসেবে বহাল থাকছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৩ জুলাই সিনেটের বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে এই পাঁচজন উপস্থিত থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। রেজিস্ট্রার ভবন থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে তাদের চিঠি দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পদাধিকার বলে ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা সবকিছু নিয়মের মধ্যে থেকেই করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে যা বলা আছে সেভাবেই কাজ করব। এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ২০ (২) ধারায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের শিক্ষার্থী-প্রতিনিধিরা এক বছরের জন্য দায়িত্বে থাকবেন৷ কিন্তু নির্বাচন, মনোনয়ন কিংবা নিয়োগের মাধ্যমে উত্তরসূরি আসার আগ পর্যন্ত তাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন৷ তবে শিক্ষার্থী-প্রতিনিধিদের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে থাকলে তাঁদের সিনেট সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে৷ অধ্যাদেশের ২০ (ঠ) ধারা অনুযায়ী, ডাকসু-মনোনীত শিক্ষার্থীদের পাঁচজন প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্য হন৷

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি-দাওয়া ও আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক ছাড়া ২৩টি পদে জয়লাভ করে ছাত্রলীগ। ২৩ মার্চ নির্বাচিতরা দায়িত্ব নেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৩ মার্চ ডাকসুর মেয়াদ শে হয়। পরে মেয়াদ আরও ৯০ দিন বর্ধিত করা হয়। তবে এর মধ্যেও নির্বাচন আয়োজন করতে না পারায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সয়ংক্রিয়ভাবে ডাকসু ভেঙে যায়।