সব শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন নিশ্চিত করেই ঢাবিতে অনলাইন ক্লাস চায় ছাত্রদল

  © সংগৃহীত

সব শিক্ষার্থীর কাছে স্মার্টফোন নিশ্চিত করেই যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনলাইন ক্লাস চালু করা হয়, সে দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। আজ শনিবার (৬ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানায়। তাছাড়া চলমান করোনা সংকট মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম কোনো ভূমিকাই পালন করতে পারেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তারা।

অনলাইন ক্লাস প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, অনলাইন ক্লাস যদি চালু করা হয় সেজন্য অবকাঠামো ঠিক করে যেন তা চালু করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যেন অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ করে স্মার্টফোন কেনা, সেটা যেন দেখা হয়। সব শিক্ষার্থীদের তো প্রয়োজন নেই, যাদের প্রয়োজন তারা যেন এই সহযোগিতা নিয়ে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে।

করোনা সংকটে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকাংশই আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীই টিউশনি করে সৎ পথে জীবনযাপন করেন। বিগত প্রায় আড়াই মাস ধরে করোনা সংকট চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ অবধি করোনা সংকট মোকাবিলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ভূমিকা পালন করতে পারেনি। উপরন্তু তারা প্রধানমন্ত্রীর যে ত্রাণ ফান্ড রয়েছে সেখানে এক কোটি ৩৬ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।

এই অনুদান দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক কাজ হয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে গত ৫ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে চালু হওয়া করোনাভাইরাস সংক্রামণের নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র ৩১ মে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তা চালুর দাবি জানান তিনি।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব মো. আমান উল্লাহ আমান বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে গত ২৯ মার্চ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ক্যাম্পাস ও তার আশপাশে ত্রাণ-বিতরণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতার কার্য্ক্রম তুলে ধরে আমান বলেন, এক হাজার অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তিন শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীদের আমরা আর্থিক সহযোগিতা করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভেতর দিয়ে মেট্রো রেলপথ ও স্টেশন স্থাপন বাতিলের দাবি পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিব বলেন, আমরা ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে মেট্রো রেলপথ ও স্টেশন নেওয়ার বিষয়টি ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করি। যেভাবে এই মেট্রোরেল পথ নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত অনেক পুরনো শতবর্ষের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা আবারো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য। আর যেন একটি গাছও কাটা না হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন উপস্থিত ছিলেন।