টাকা নয়, ভিন্ন কারণে বন্ধ হয়েছে ঢাবির করোনা ল্যাব: উপাচার্য

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত ৫ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস (কারাস) ভবনে তৈরি করা হয় ল্যাবটি। তবে এর একমাস পার না হতেই ল্যাবটি বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

ল্যাবটি বন্ধ করার পেছনে আর্থিক সঙ্কটের কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া জনবল সঙ্কট, নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন কারণ সামনে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানে বলেন, ‘আর্থিক সংকট বড় সংকট নয়, সেটা আমরা বলিনি। বিভিন্ন বিভাগের যন্ত্রপাতি নিয়ে ল্যাবটি চালু করা হয়েছিল। যেকোন প্রয়োজনে এমন ল্যাব হতে পারে। সেটি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির সুযোগ নেই। এখন তাদেরকে গবেষণার কাজে সেগুলো ফেরত দেয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেকদের দিয়ে সেটি চালানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে আমরা বলি, এ পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে হেল্প করতে পারি। জাতীয় পরিস্থিতিতে কীভাবে আমরা অবদান রাখতে পারি, সেটি ভেবেই এটা করা হলো। তারপর একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যন্ত্রপাতিগুলো যে ল্যাবের সেখানে ফেরত দেওয়া হবে। কারণ গবেষণা বন্ধ থাকলেও বিতর্ক হবে। ফলে এগুলো সেখানেও যেতে হবে। সুতরাং অনেকগুলো ফ্যাক্টর মিলিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ল্যাবটি চালু রাখা হয়েছে।’

ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, বড় কোনো চাহিদা না থাকলে ওই পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে, সেটি জানিয়েও দিয়েছিলাম। আমি এতটুকু জানি, সেটুকুই বললাম। সে অনুযায়ী তাদেরকে বলেও দিয়েছিলাম। কেউ বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাানোর সুযোগ নিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এরপরও আমি যদি কোনক্রমে ধারণা পেতাম যে, এটি প্রয়োজন- তাহলে অর্থ জোগাড় করা কঠিন কিছু ছিল না। এটি আমাদের প্রশাসনিকভাবে চালানো কঠিন। মূলত স্বেচ্ছাসেবী দিয়ে চালানো হয়। তবে আমাদের শিক্ষকরা কিংবা জাতীয়ভাবে যদি চায়, তাহলে বিষয়টি এমন না যে, বন্ধই রাখতে হবে। অন্য ল্যাবগুলোর কাজ বন্ধ থাকায় মূলত আরেকটি বিতর্ক এড়াতে করোনা পরীক্ষার ল্যাব বন্ধ করা হয়েছে।’

ঢাবির করোনা ল্যাব আসলেই কি টাকার অভাবে বন্ধ?


সর্বশেষ সংবাদ