ঢাবির ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা এসেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুনরায় ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার অন্তত ৩-দিন পূর্বে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা শিক্ষার্থীদের জানানো হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ আগামী ১৪ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবা কার্যক্রম এই ছুটির আওতামুক্ত থাকবে।

এতে আরো বলা হয়, এই ছুটিকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদেরকে আচরণের সকল শিষ্টাচার অনুসরণ করে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে পরামর্শ দেয়া হলো। শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে নিজের পাঠক্রম ও সামগ্রিক বিষয়ে অধ্যয়ন চর্চা অব্যাহত রাখতে এবং সীমিত পরিসরে হলেও শরীর চর্চার বিষয়ে যত্নশীল থাকার পরামর্শ দেয়া হলো।

এদিকে করোনাভাইরাস সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আহ্বান জানালেও তাতে যাচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

এর আগে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে উপাচার্য জানান, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। তখন শিক্ষকরা অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে করোনা বন্ধের ঘাটতি পূরণ করে দিবে।

নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর পদক্ষেপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ থাকায় সেশনজটের আশঙ্কায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ থেকে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের চিন্তাগ্রস্থ না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে। তখন অতিরিক্ত সময় দিয়ে ঘাটতি পূরণ করা হবে।

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা করোনার কারণে সমস্যায় পড়ে গেল। যেহেতু এটা একটি জাতীয় সমস্যা তাই একে যেকোনভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এ সমস্যা যখন শেষ হয়ে আসবে তখন আমাদের শিক্ষকরা বিষয়টির দিকে সদয় দৃষ্টি দিবেন। তারা অতিরিক্ত সময় দিলে এই ঘাটতি পূরণ করা যাবে। করোনার কারণে আমরা যদি এক-দু’মাস পিছিয়ে যায়, তাহলে হয়তো সমস্যাটি সমাধানের জন্য আমাদের বিশেষ ড্রাইভ লাগবে।

অনলাইন ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা মোবাইল অপারেটরদের সাথে কথা বলছিলাম। কিন্তু একেকজনের একেক নেটওয়ার্ক হওয়ার কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না।


সর্বশেষ সংবাদ