৭ ঘন্টা সভা করেও সান্ধ্যকোর্স নিয়ে একমত হতে পারলেন না শিক্ষকরা

  © লোগো

৭ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা করার পরও সান্ধ্যকোর্স নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সোমবার বিকাল তিনটা থেকে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত চলে এ সভা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ওই সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউট প্রধানসহ অধ্যাপকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত একাধিক শিক্ষক জানান, আলোচনাসূচী ছিল সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা এবং সান্ধ্য কোর্স। মূল ফোকাস ছিল সান্ধ্যকোর্সে। এটি থাকবে কিনা তা নিয়ে সভায় পক্ষ-বিপক্ষে তুমুল বির্তক চলে। এ কোর্স বন্ধ করার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দেন শিক্ষকরা। 

রাত ১০টার পর সিদ্ধান্ত ছাড়াই একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সমাপ্তি ঘটে। তবে সান্ধ্যকোর্সের যৌক্তিকতা যাচাইয়ে উপ-উপাচার্য  (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদকে প্রধান নতুন আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

সভার শুরুতে সান্ধ্যকোর্সের যৌক্তিকতা যাচাইয়ে কমিটির প্রতিবেদন পাঠ করেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সান্ধ্যকোর্স যাচাই কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ। এসময় তার বক্তব্যের মধ্যে সভা থেকে ‘শেইম’ ‘শেইম’ চিৎকার আসে।

পরে সান্ধ্যকোর্সের পক্ষ নিয়ে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, এ ধরণের প্রোগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে। আমি যদি আমার বিভাগের কথা বলি তাহলে বলবো, আমার এখানে ডিগ্রি নেয়ার জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আসে, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে গৌরাবান্বিত করে।

সান্ধ্যকোর্সের বিরোধীতা করে স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা, যারা মেধা দিয়ে এখানে ভর্তি হয়, তাদের স্বার্থের বিষয়ে আমাদের চিন্তুা করতে হয়। শিক্ষার্থীরা অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আমাদের স্যাররা আমাদের সময় দেন না।

সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সান্ধ্যকোর্সের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৫ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর কোন কোর্স থাকবে আর কোন কোর্স বন্ধ হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ৫ সপ্তাহের মধ্যে কোন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিতে এবং ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। তবে যে কোর্সগুলো চলমান রয়েছে সেগুলো চলবে। 

তিনি বলেন, কমিটির দেয়া প্রতিবেদনের পর সেটি আবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উঠবে।  সান্ধ্যকোর্সের বিষয়ে সেখানে হয়তো একটি নীতিমালা করার কথা থাকবে। এরপর থেকে নীতিমালা অনুসরন করা হবে।