ফুলার রোডকে প্রেম চত্বর মনে করেন বহিরাগতরা

  © টিডিসি ফটো

নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। হল ছাত্র সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নেতৃত্বে শনিবার সন্ধ্যায় ফুলার রোডের উদয়ন স্কুলের সামনে এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী। মানববন্ধন থেকে ক্যাম্পাসকে বহিরাগতমুক্ত ও গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণসহ ৪টি দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণের ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা দিনদিন বাড়ছে। ঐতিহাসিক ফুলার রোডকে তারা পার্কে পরিণত করেছে। এটাকে প্রেম চত্বর হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে৷

এসএম হলের জিএস জুলিয়াস সিজার বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার বিচরণের অধিকার রয়েছে কিন্তু এটার অপব্যবহার মানা যাবে না। আমরা কোনভাবেই এই বিষয়ে একইঞ্চিও ছাড় দেবো না।

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে লক্ষ্য করে আসছি যে, আমাদের প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ। তাদের অপ্রীতিকর ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে৷ অন্যদিকে, গণপরিবহনের অবাধ চলাচল ও অতিগতিতে মটরসাইকেল চলার কারণে ক্যাম্পাস জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে৷ এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবরই উদাসীন। প্রক্টরিয়াল টিম থাকতে কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তার নামতে হবে? কেন আমরা গণপরিবহন বাঁধা দিতে যাবো? আমরা নিজেরাাই ক্যাম্পাসে নিরাপদ নয়।

তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসকে বহিরাগত ও গণপরিবহন মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের চারটি দাবি থাকবে। এসব দাবি আমরা হল সংসদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত দিব।

এসব দাবির মধ্যে রয়েছে-ক্যাম্পাসের প্রতিটি মোড়ে গেট তৈরি করা; বহিরাগতদের অবাধ বিচরণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি যেন না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া; ক্যাম্পাসে ভারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা; ক্যাম্পাসে অশ্লীলতা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

হলের শাহীন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এই ফুলার রোড পার্কে পরিণত করেছে। বহিরাগতরা এখানে অশ্লীল কর্মকাণ্ড করে। তারা এটাকে প্রেম চত্বর হিসেবে ব্যবহার করে।

ইয়াকুব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, পড়ালেখার স্বপ্ন নিয়ে ঢাবিতে এসেছি। আমাদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়। আমরা ঢাবিতে এসেছি পড়ালেখা ও গবেষণা করতে। আমরা আশা করছিলাম এখানে নতুন, সুন্দর পরিবেশ পাবো। কিন্তু তার পরিবর্তে আমরা পেয়েছি বহিরাগত ভরপুর এবং গণপরিবহনের এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 


সর্বশেষ সংবাদ