আন্দোলনে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিয়া রহমানের পদত্যাগের দাবিতে ফের ‍আন্দোলনে উত্তাল হলটি। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আন্দোলন শুরু করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের ‘একদফা একদাবি পদত্যাগ পদত্যা’ ‘হইহই রইরই জিয়া তুই গেলি কই’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

এর আগে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিয়া রহমানের পদত্যাগের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হল অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় সেখানে তিনি উপস্থিত হলে তাকে ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।

এছাড়া প্রাধ্যক্ষ কার্যালয়ে তালা ঝুঁলিয়ে দেওয়ায় তিনি সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নিম্নমানের টি শার্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া সবাইকে খাবারও দেয়া হয়নি। যে খাবার দেয়া হয়েছে তাও অত্যন্ত নিম্নমানের। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।

এরই জেরে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে হলের সামনে বিতরণ করা টিশার্ট জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্টের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেন।

জিয়া হল ছাত্র সংসদের জিএস হাসিবুল হাসান শান্ত বলেন, ‘আমাদের আজকে যে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল সেখানে প্রথমে যে টিশার্টটি দেখানো হয়েছিল সেটি দেয়া হয়নি। যে খাবার দেয়া হয়েছে তা খুব নিম্নমানের। পাশাপাশি আমাদের হলের শিক্ষার্থীরা যেখানে থাকার জায়গা না পেয়ে গণরুমে মানবেতর জীবনযাপন করছে সেখানে হলের স্টাফরা প্রায় দশটি রুম দখল করে আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের রিডিং রুমের সমস্যা দীর্ঘদিনের। বারবার প্রভোস্টকে এসব বিষয়ে অবহিত করার পরও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।’ এ কারণে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছেন বলে তিনি জানান।

জিয়া হল ছাত্র সংসদের সদস্য মুহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের এই ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। গতবছর রমজানেও এরকম নিন্মমানের খাবার দেয়া হয়েছিল এবং শিক্ষার্থীরা তখন আন্দোলন করেছিল। আমরা হল সংসদ থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তার কাছে তুলে ধরলে তিনি সেসবের কোনো তোয়াক্কা না করে উল্টো আমাদের সাথে ধমকের সুরে কথা বলেন।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে তাকে সম্মান দিতে গিয়ে আজ আমরা এতটাই বঞ্চিত হচ্ছি যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো কাজই করতে পারছি না। তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন ফি’র নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেন। এমনকি তার ব্যক্তিগত খরচের টাকা নেন হল সংসদের ফান্ড থেকে।’

এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিয়া রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ