ভাষার চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি

  © টিডিসি ফটো

সমাপ্তি ঘটলো ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র’ উৎসবের। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পুরস্কার প্রদান ও আলোচনার মধ্যে দিয়ে এই সমাপণা। পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজনের আজ ছিল শেষ দিন। উৎসবের শেষ প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছে নিয়ামুল হক মুক্তা পরিচালিত ‘কাঠবিড়ালি’ শিরোনামের ছবি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকি, পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা- অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র শিল্পীরা।

৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে দুই বাংলার সমসাময়িক ও ধ্রুপদী ১৯টি র্পূণদর্ঘ্যৈ এবং ৩টি স্বল্পদর্ঘ্যৈ চলচ্চিত্র।

উৎসবের ১৯তম এ আসরে ‘সত্তা’ চলচ্চিত্রের পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল (১১ ফেব্রুয়ারি), ওপার বাংলার প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অঞ্জন দত্ত (১২ ফেব্রুয়ারি), ‘ন ডরাই’, ‘ইতি তোমারই ঢাকা’, ‘কাঠবিড়ালী’ চলচ্চিত্রের কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। অধিকাংশ চলচ্চিত্রে হাউজফুল ছিল। ন ডরাই চলচ্চিত্রটি দর্শকদের অনুরোধে দ্বিতীয়বার প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবের সমাপনী দিনে উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেন স্মরণে ‘হীরালাল সেন পদক’ প্রদান করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসবের বিজয়ী তিনটি চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করেন। পুরস্কার প্রাপ্ত তিনটি চলচ্চিত্র হলো ফাগুন হাওয়া, আলফা ও ইতি তোমারই ঢাকা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন,বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের খরা কেটে গেছে। বর্তমানে অনেক ভাল মানের চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে। আশা করি, দু’য়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ক্যানভাসে পরিবর্তন ঘটবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ জাতির পিতার হাত ধরে যে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির যাত্রা সেটি বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মানের মাধ্যমে বিশ্ব বাজার প্রবেশ করবে।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনকে স্মরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজন করা হয় আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব। আয়োজনটির পেছনে পুরোদমে কাজ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ। ২০০২ সালে প্রথম আয়োজনেই সাধারণ ছাত্রদের কাছ থেকে ব্যপক সাড়া পায় সংগঠনটি।

শুরু থেকে উৎসবটির নাম ছিলো ‘চলচ্চিত্রে বাংলার মুখ’। ভাষা আন্দোলনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০০২ সালে শুরুর উৎসবে ‘ভাষা আন্দোলনের ৫০ বছর’ শিরোনামটিও যুক্ত ছিলো। পরবর্তীতে ২০০৭ সাল থেকে উৎসবটির নাম পাল্টে রাখা হয় ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’।