জেলাসহ বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেগুলোতে কমিটি ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় কমিটি

হাসান আল মামুন
হাসান আল মামুন  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় কমিটি দেওয়ার পর কাউন্সিলর নির্বাচন করার মাধ্যমে দ্রুত কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির আহবায়ক হাসান আল মামুন।

আজ বুধবার (১২ই ফেব্রুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কাছে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের এক সপ্তাহ পরেই ২ বছর পূর্ণ হবে। ২০১৮ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী এই সংগঠনটির যাত্রা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে কথা বলায় শিক্ষার্থীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই প্লাটফর্মটি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ, দাবি এবং প্রত্যাশাকে পুঁজি করেই গত দু বছরে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয় সংগঠনটি।

এদিকে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দায়িত্ব পেয়েছেন বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং আখতার হোসেন। অন্যদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে রয়েছেন রাইসুল ইসলাম এবং আবু বকর খান।

এ বিষয়ে হাসান আল মামুন বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আমাদের কমিটির কার্যক্রম শুরু করেছি। পাশাপাশি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলোতে কমিটিতে দেওয়ার কাজ চলছে। আমাদের তো একটা সেন্ট্রাল কমিটি আছে তারই সহযোগিতায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জেলা সহ সব জায়গায় কমিটি দেওয়ার পর কাউন্সিলর নির্বাচিত করে আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করব।

কতদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাজ শেষ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মামুন বলেন, আমরা যেহেতু কাজ শুরু করেছি যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আগামী ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র অধিকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি।

তিনি বলেন,দীর্ঘ ২৮বছর পর ডাকসু নির্বাচন হওয়ার পর প্রত্যেক ছাত্র সংগঠন অনুভব করেছে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করা জরুরি। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেলে আমাদের অনেকে নির্বাচন করে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।

তিনি আরো বলেন,গবেষণা বান্ধব ও উদ্যোক্তা বান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মতামত সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি। পাশাপাশি ঢাবি কতৃপক্ষ ও তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। ঢাবির একজন ছাত্র হিসেবে আমি মনে করি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় ঢাবি না গেলে ভালো হবে। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য বাহ্যিকভাবে যতটা সুবিধাজনক মনে হচ্ছে তার চাইতেও বেশি হুমকি স্বরুপ।