শিক্ষার্থীদের জন্য বাস চাইলেন ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সমস্যা সমাধানে জীবন বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের নিকট নতুন বাস চেয়ে আবেদন করেছেন ডাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন। 

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ বরাবর এ আবেদন জানান তিনি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহরিমা তানজিম অর্নি প্রমুখ।

চিঠিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়ার দরুন শিক্ষার্থীদের ৪৯ শতাংশ অনাবাসিক থেকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত করছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য যে পরিমাণ বাস রুটের প্রয়োজন সে পরিমাণ বাস আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নেই’।

এতে আরও বলা হয়, ‘বাসের অপ্রতুলতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিত্য যাতায়াতে অপরিমেয় দুর্দশার সম্মুখীন হতে হয়। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আধুনিক সুপরিসর বাস প্রদান করে শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহযোগিতা কামনা করা হয়’।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য বাস সংখ্যা মাত্র ৫০টি। যার মধ্যে ভাড়ায় চলে ৩৫টি বাস। এদিকে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বছরে আয় ৫ কোটি টাকা। যা দিয়ে পরিবহন খাতে প্রতিবছর কমপক্ষে ৩টি নতুন বাস যুক্ত হতে পারে। অথচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় বিআরটিসিকে ভাড়া বাবদ প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা দিচ্ছে। তবুও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিনে ব্যবহার করলে নিয়মিত ভাড়া দিতে হয়।

যার কারণে ডাকসু এজিএস সাদ্দাম জীবন বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের কোষাধক্ষ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের কাছে অত্যাধুনিক বাসের আবেদন জানিয়েছেন। শুধু ডাকসু কোষাধক্ষ্ নয় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছেও তারা এই বাসের জন্য আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য যতগুলো বাস এবং রুটের প্রয়োজন তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরবরাহ করতে পারছে না। তাই আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্নভাবে সহায়তা নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করার। আমরা ইতিমধ্যে জীবন বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে এ ব্যাপারে জানিয়েছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা আমরা রাখছি।


সর্বশেষ সংবাদ