সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে এবার ঢাবিতে শিক্ষার্থীর অবস্থান

  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) দ্বারা বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিস্থ (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছেন এক শিক্ষার্থী। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে প্রতিবাদী এ কর্মসূচীতে বসেন তিনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে ১০টার দিকেও তিনি সেখানে ছিলেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম নাসির আবদুল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ’র শিক্ষার্থী এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সীমান্তে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে বিএসএফ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে নির্বিকার রয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক। এক প্রশ্নের জবাবে অবস্থানকারী এ শিক্ষার্থী জানান, এক-দুইদিনের দিনের জন্য তিনি অবস্থান কর্মসূচিতে বসেননি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তিনি অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরবেন না।

এর আগে বেলা পৌনে তিনটার দিকে কই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন আরিফুল ইসলাম নামের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তিনি জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগে স্নাতকোত্তরে (৪৩ ব্যাচ) অধ্যয়নরত। এছাড়া সে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক।

এ ব্যাপারে আরিফুল ইসলাম বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসুতে হামলার সময় তিনিও ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে আহত হন। চিকিৎসক তাকে তিন মাস বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। বিশ্রামের এক মাস শেষ হয়েছে, এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। তবে বিবেকের তাড়না ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতায় তিনি এ প্রতিবাদ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার এই চার দফা দাবির প্রতি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আসার আগ পর্যন্ত অনশন ভাঙব না।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের নওগাঁ পোরশা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। উপজেলা দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বীল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা নিয়ে উত্তেজনা থাকলেও সম্প্রতি নওগাঁ সীমান্তে তিন বাংলাদেশি হত্যায় বিষয়টি নতুনভাবে আলোচনায় আসে।


সর্বশেষ সংবাদ