রোকেয়া হলের ‘দুর্নীতি’ ফাঁস করায় সিট হারাচ্ছেন দীপ্তি!

 শ্রবণা শফিক দীপ্তি
শ্রবণা শফিক দীপ্তি  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের’  তথ্য ফাঁস করায় হলের সিট হারাচ্ছেন শ্রবণা শফিক দীপ্তি। ডাকসু নির্বাচনে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী হয়েছিলেন ওই শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। অনিয়ম নিয়ে প্রকাশিত তাঁর তথ্য-উপাত্তগুলোকে মিথ্যা দাবি করে দীপ্তিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে হল প্রশাসন।

গত ১৫ জানুয়ারি দীপ্তি বরাবর প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করায় কেন ওই শিক্ষাথীর সিট বাতিল হবে না। আর ৭ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এর প্রেক্ষিতে হল লিখিত জবাব জমা দেয়ার আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনে ওই জবাব উপস্থাপন করেন শ্রবণা শফিক দীপ্তি। এসময় তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয় ও সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত যুক্তিহীন এবং বেআইনি বলে দাবি করেন ওই শিক্ষার্থী। 

তিনি বলেন, হল প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে— আমি মিথ্যা তথ্য দিয়েছি। অথচ ওই তথ্যের স্পষ্ট সোর্স উল্লেখ করা ছিল। তারপরেও আমার বিরুদ্ধে কেন অপবাদ দেয়া হলো। তিনি বলেন, চিঠিতে বলা হয়েছে ৩টি অডিও ক্লিপ আমি ভাইরাল করেছি যা সঠিক নয়। অথচ এটা সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দীপ্তি

 

হল প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে দীপ্তি বলেন, আপনারা উল্লেখ করেছেন— ফেসবুকে তথ্য ভাইরাল করণ বা তথ্য প্রদান হলো সাইবার ক্রাইম। তাহলে এটার বিচার করবে আদালত। এ কারণে আপনারা সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এর জন্য অবশ্য আদালত রয়েছে। 

এছাড়া রোকেয়া হলের কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিষয়টি প্রথমে গণমাধ্যমে প্রকাশ করার কথা বলা হয়। কিন্তু বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ না করে তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও বেআইনি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান দীপ্তি।

দীপ্তি আরও জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে ‘অনিয়ম এবং দুর্নীতির’ কথা উল্লেখ করেছি এবং ফেসবুক থেকে আমার নাম দিয়ে কোন মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হয় নাই। তাই কারণ দর্শানোর নোটিশ ও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যাচাই করে সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার আহবান জানান শ্রবণা শফিক দীপ্তি।

এছাড়া হলের কারণ দর্শানোর নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে রোকেয়া হলে কর্মচারী নিয়োগে কোন অনিয়ম বা আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। ফেসবুকে এই সংক্রান্ত যে অডিও ক্লিপ ভাইরাল করা হয়েছে, তার কোন সত্যতা মিলে নাই। যাদের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, তাদের কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয় নাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই অপপ্রচার চালানো হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ