সেই ঢাবি ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন ভিপি নুর

ছাত্রলীগের নির্যাতন ও মারধরের বিচারের দাবিতে অবস্থানকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে ডাকসু ভিপি নুরুল হক। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ঢাবি শিক্ষার্থী মুকিম চৌধুরীকে। এসময় তার ভাই মুহসীনও ছিলেন। 

গতকাল বিকেল ৫টা থেকে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করছেন ওই শিক্ষার্থী। টানা ২২ ঘন্টা অবস্থানে শারীরিক দুর্বলতায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানায় সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে দ্রুত চিকিৎসা দেয়া প্রয়োনজন মনে করে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এর আগে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমার উপর যে নির্যাতন হয়েছে এর বিচারের দাবিতে এখানে বসেছি। কিছু বানোয়াট স্ক্রিনশট দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিবির সন্দেহে মারা হোক কিংবা যেভাবেই মারা হোক ছাত্রলীগ কারো গায়ে হাত তোলাকে সমর্থন করে না। এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত আছে তা জানতে আমরা সবাই নিয়ে বসবো। আমাদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জড়িতদের অপরাধের মাত্রার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার বিকেল তিনটার দিকে ‘শিবির সন্দেহে’ মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যোলয়ে (ঢাবি) চার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে পুলিশ। দুপুরে ওই শিক্ষার্থীদের ছাড়াতে থানায় যান ডাকসু ভিপি নুরুল হক।

থানা থেকে ছাড়া পেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুকিম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে ছাত্রলীগের নির্যাতনের নির্মম বর্ণনা দেন। তিনি জানান, তাকে হাতুড়ি, তার ও স্যান্ডেল দিয়ে ছত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মারধর করেছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের পরে ওই শিক্ষার্থীদের পুলিশ হেফাজতে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাত ১১টার দিকে জুহুরুল হক হলের গেস্টরুম শেষে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের নিয়মিত গেস্টরুম চলছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুকিম চৌধুরীকে শিবির সন্দেহে গেস্টরুমে ডাকা হয়।

সেখানে হল শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা তাদের অনুসারীদের দিয়ে মুকিমকে প্রথমে মানসিক চাপ দেয়। এতে স্বীকার না করায় তাকে লাঠি, স্টাম্প ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।


সর্বশেষ সংবাদ